সান নিউজ ডেস্ক : পাসপোর্ট অতি মূল্যবান এক পরিচয়পত্র। অনেক সময় অসাবধানতার কারণে পাসপোর্ট হারিয়ে যায়। তখন নানারকম ঝামেলা ও আইনী সমস্যায় পড়তে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করুণীয়সমূহ।
জিডি: প্রথমেই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে, মূলত যে থানা এলাকায় পাসপোর্টটি হাটিয়েছে বা চুরি হয়েছে সে এলাকার থানায় জিডি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে হারানো পাসপোর্টের নাম্বার ও ফটোকপি সরবরাহ করতে হবে। তাই পূর্ব থেকে পাসপোর্টের ফটোকপি করা থাকলে আপনার কাজ সহজ হবে।
পুনরায় পাসপোর্টের আবেদন: হারানো পাসপোর্ট উদ্ধার করা না গেলে নতুন করে আবেদন করুন। আবেদন করলে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে আপনাকে নতুন একটি পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে।
আবেদনের সময় যা লাগবে
নতুন করে পাসপোর্ট করতে - সদ্য তোলা ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, সাধারণ ডায়েরির মূল কপি, হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে) লাগবে। সাথে পাসপোর্টের পুরো ফি গুণতে হবে।
বিদেশে পাসপোর্ট হারালে করণীয়: কেউ যদি বিদেশে গিয়ে পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেন তাহলে সর্বপ্রথম সে দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসে চলে যাবেন। সেখানে গিয়ে পাসপোর্ট হারানোর কথা বলুন। এক্ষেত্রে বিদেশের যে এলাকায় বা থানায় পাসপোর্ট হারিয়েছে সেখানকার থানায় একটি জিডি করতে হবে। জিডি করার পর সে জিডি কপিসহ আপনি বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে অন্যান্য কাজগুলো জমা দেবেন। সমস্ত কাগজ জমা দেওয়ার পর তারা আপনাকে ট্রাভেল পারমিট দেবে। ট্রাভেল পারমিট মূলত পাসপোর্টের বিকল্প পরিচয়পত্র, যেটি বহন করে আপনি নির্দিষ্ট সময় ভ্রমণ করতে পারবেন।
ট্রাভেল পারমিটের জন্য যেসব কাগজপত্র দূতাবাসে জমা দিতে হবে, যেমন-
হারানো পাসপোর্টের ফটোকপি
হারানো পাসপোর্টের ভিসা এরাইভাল হওয়ার কপি
আপনার কয়েক কপি ছবি
থানার জিডি কপি
C Form/সি ফর্ম তথা যে দেশে থাকছেন সেখানকার ঠিকানা ও তার প্রমাণপত্র।
সব কাগজের সঙ্গে পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে জানিয়ে একটি ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করার জন্য আবেদন লিখতে হবে মিনিস্টার কাউন্সিলর বরাবর। সাধারণত সমস্ত আবেদন সম্পন্ন করার কোনো সমস্যা না থাকলে সেদিনই ট্রাভেল পারমিট প্রদান করবে।
বিদেশের মাটিতে পাসপোর্ট হারানো অত্যন্ত ঝামেলাপূর্ণ একটি কাজ। তাই এটি খুব যত্ন সহকারে ব্যবহার করুন।
সান নিউজ/ এমএইচআর