লাইফস্টাইল ডেস্ক: করোনা প্রতিরোধ কিংবা প্রতিকারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। তাই স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। করোনায় আক্রান্ত হলে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মরণঘাতি এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েন।
একে একে লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকলে শরীরও ক্লান্ত হতে শুরু করে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই করোনায় আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত না হয়ে সুস্থ হওয়ার প্রচেষ্টার প্রতি জোর দিন। করোনায় আক্রান্ত হলে কেমন খাবার খাবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক-
করোনায় আক্রান্ত হলে বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই যে সমস্যা দেখা দেয় সেটি হলো স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া। এসময় ঢোক গিলতেও অসুবিধা হয়। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির খাবারে খুব বেশি তেল-মশলা ব্যবহার করা যাবে না। সেদ্ধ খাবার খেতে পারলে বেশি ভালো।
রান্নার পরিবেশ যেন পরিচ্ছন্ন হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এসময় শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে সেজন্য এমন খাবার খেতে হবে যা শরীরে শক্তি জোগাবে।
দই, ফল ইত্যাদি দিয়ে তৈরি স্মুদি খাওয়া যেতে পারে। খেতে পারেন পিনাট বাটারও। এসময় ওটস হতে পারে আরেকটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এসব খাবার দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, কোনোরকম বাসি খাবার রোগীকে খাওয়ানো যাবে না।
যেসব খাবার খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরে আসে সেসব খাবার খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের মাছ, মুরগির মাংস, বাদাম, সয়া, পনির. ডিম এবং পুষ্টিকর খাদ্যশস্য খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি পৌঁছায়।
সাধারণ রান্নার তেলের বদলে বাদাম, জলপাই কিংবা সরিষার তেলে রান্না করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। করোনায় আক্রান্ত হলে দিনে একবার হলুদ মিশ্রিত দুধ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
করোনা থেকে মুক্তির জন্য খেতে হবে তাজা ফল-মূল ও শাক-সবজি। যেসব খাবারে ভিটামিন এ,সি,ডি এবং জিঙ্ক আছে সেগুলো খেতে হবে। এসময়ে শরীরে দিতে হবে বাড়তি ক্যালরির জোগান।
তাই ডার্ক চকোলেট হতে পারে উপকারী। মুখে স্বাদ না থাকলে এবং গিলে খেতে সমস্যা হলে খাবার নরম করে খাওয়া যেতে পারে।
এসময় পানি পান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যাদের ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা দেখা দেয়, তাদের আরও বেশি জরুরি। কারণ তাদের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। তাই শরীরে পানির ঘাটতি পূরণের জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পানি ছাড়াও আদা-মধুর চা, মুরগির মাংসের স্যুপ, ফলের রস, ডাবের পানি ইত্যাদি খেতে পারেন।
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। ক্লান্তি কাটানোর জন্য আপেল, কমলা, কলা ইত্যাদি ফল খেতে হবে। মনে রাখবেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনোরকম ওষুধ খাওয়া চলবে না।
সাননিউজ/এএসএম