আসমাউল মুত্তাকিন: আমার স্পষ্ট মনে আছে, তখন আমি প্রথম শ্রেণিতে পড়ি। আমার বয়স পাঁচ বা ছয়ের বেশি হবে না। ছোটবেলা থেকে দেখতাম,আব্বু প্রতিমাসে একবার চুল কাটতেন। তার সাথে আমাকে নিয়ে যেতেন চুল কাটতে। পরিচিত দোকান। এক সাথে চুল কাটলে সুবিধা হয়।
মাসে শেষ দিক। চুল কাটার সময় হয়ে এসেছে আমার। যেহেতু চুল একটু বড়, তাই কাটতে হবে। ভাবলাম, দোকানে কাটলেতো টাকা দিতে হয় এবার চুলটা বাসায় কাটলে টাকা দিতে হবে না!
বাসায় বিভিন্ন জিনিসপত্র কাটার জন্য ছোট একটি কাঁচি রাখতেন আম্মু। খোঁজাখুঁজি করে কাঁচি সাথে নিয়ে বাথরুমে ঢুকলাম। আয়নার দিকে তাকিয়ে সেইভাবে হাত চালাচ্ছি আর ভাবতেছি এবার আর কষ্ট করে নাপিতের কাছে যেতে হবে না। চুল কাটা শেষ। এদিকে ছোট আয়না। ভালো ভাবে চেহারাটাও দেখা যায় না। তাই অনুমান করে কাটা শেষ করলাম।
ওমা! মাথায় হাত দিয়ে দেখি সামনের দিকের অর্ধেক চুল নেই। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। কি করা যায় এখন ভাবতেছি! উপায়ন্তর না দেখে মাথায় হাতদিয়ে কাটা অংশ ঢেকে বাথরুম থেকে বাইরে বের হলাম। বের হয়েছি সামনে আম্মু উপস্থিত।
আম্মু বলল, ‘কিরে মাথায় হাত কেন? কি হলো আবার?’
ঘটনাটা আম্মুকে বললাম। এরপর আরকি, টাক করতে হলো আমার মাথা......!!