লাইফস্টাইল ডেস্ক: যারা স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন, তারা কমবেশি ডায়েট নিয়ে ভাবনায় থাকেন। সবাই নানারকম ডায়েট করি আমরা। অনেকে ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েই করে ফেলি ডায়েট। এতে ক্ষতি আরো বেশি হয়। ডায়েটিং এর দুনিয়ায় এমন কেউ নেই যে ডিটক্স ডায়েট কথাটি জানে না। আমরা ডায়েট করে থাকি এই কারণে যে যাতে শরীর থেকে ক্ষতিকারক উপাদান বা বিষাক্ত জিনিসগুলি বেরিয়ে যায়।
ডিটক্স ডায়েটে প্রধানত ফাস্টিং ও জুস পান করে নির্ভর থাকতে হয়। শরীরে যেসব টক্সিন মলমূত্র ও ক্ষতিকর কণা তৈরি হয় সেগুলি ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
বলা হয়ে থাকে ১ থেকে ৩দিনের বেশি ফাস্টিং করবেন না। সময় শেষ হলে পূর্ববর্তী খাদ্য তালিকা অনুযায়ী আবার খাবার খেতে শুরু করুন। ফ্রুট বা ভেজিটেবল জুস বা স্মুদি, জল, গ্রিন টি পান করতে পারেন। তবে যারা ধূমপান বা মদপান করেন বা অন্য মাদক সেবন করেন তাদেরকে সেগুলি ত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি এগুলি পান করার সঙ্গে আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত।
কফি, রিফাইন্ড সুগার, এলকোহলও পান করা যাবে না।
গর্ভাবস্থা, পিরিয়ড বা ব্রেস্টফিডিং চলাকালীন এই ডায়েট মানবেন না। এতে আপনার শরীরে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। কোনো রোগ যেমন এনিমিয়া, ব্লাড প্রেসার, জেনেটিক ডিসঅর্ডার থাকলে এই ডায়েট পালন করবেন না।
গরমকালে পানি বা জুস পান করার সঙ্গে ডাবের পানি পান করাটা খুব জরুরি। এতে শরীর ঠাণ্ডা থাকবে। ব্রাউন ব্রেড, হোয়াইট পাস্তা, টক দই এগুলিও রাখবেন ডায়েটে। এগুলি হালকা খাবার কিন্তু পেট ভালো থাকে ও মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা থাকে।
এই ডায়েটে শুধুই যে দ্রুত ওজন কমবে সেটাই না। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। ইম্যুনোটি শক্তি বৃদ্ধি পায়। স্ট্রেস কমে যায় বলে রাতে বিনা বাধায় ভালো ঘুম হয়। আবার সারাদিন ছোটাছুটি করার শক্তি পাওয়া যায় এই ডায়েটে। তবে শক্তি আনতে এই ডায়েট করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
সান নিউজ/এসএস