সান নিউজ ডেস্ক : সারাদিন কাজের শেষে ক্লান্তি আসবেই। কারণ আমাদের শরীর বিশ্রাম চায়। অনেক সময় শরীরে সঠিক পুষ্টি না পৌঁছালে ক্লান্তি ভর করে। যদি যখন-তখন ক্লান্ত হয়ে পড়েন, কাজ করতে গেলে দেখা দেয় রাজ্যের অলসতা, তাহলে সতর্ক হোন। বারবার ক্লান্তি দেখা দিলে তা আরও বড় কোনো বিপদের লক্ষণ হতে পারে। এই সমস্যায় ভুগলে আপনার জীবনযাপনে আনতে হবে কিছু পরিবর্তন। যেসব অভ্যাস ক্লান্ত লাগার জন্য দায়ী সেগুলো বাদ দিতে হবে। তার আগে জেনে নিতে হবে ক্লান্ত লাগার কারণ।
সারাদিন ক্লান্ত লাগার ৬ টি কারণ
১. পর্যাপ্ত পানি পান না করা।
২. সারাদিন শুয়ে বসে থাকা।
৩. অসময়ে ঘুম।
৪. অতিরিক্ত চা কফি পান করা।
৫. পর্যাপ্ত পুষ্টিকর ও সুষম খাবার গ্রহণ না করা।
৬. স্ট্রেস/ মানসিক চাপ।
ক্লান্তি কাটাতে করণীয় :
পর্যাপ্ত পানি পান করা : আমাদের শরীরের শতকরা ৭০ ভাগই পানি। পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য উপাদান পরিবহন করে। শরীরে পানিশুন্যতা দেখা দিলে দুর্বলতা দেখা দেয় এবং ক্লান্ত লাগে।
শরীরচর্চা : সকালে ঘুম থেকে উঠে কমপক্ষে এক ঘণ্টা যন্ত্র ছাড়া হালকা এক্সারসাইজ করলে অলসতা দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীর সুস্থ ও সবল থাকবে। আধঘণ্টার হাঁটা শরীর ফুরফুরে রাখে এবং নতুন করে শক্তি অনুভব করবেন যা ক্লান্তি দূর করার প্রধান উপায়।
পর্যাপ্ত ঘুম : ঘুম কম হওয়া ক্লান্তির একটি প্রধান কারণ। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট রুটিন সারাদিন শরীর সতেজ রাখে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস শরীর ও মন ভালো রাখে।
পরিমিত চা-কফি পান করা : চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের শক্তি ধরে রাখে এবং ক্লান্ত করে না। আর কফিতে আছে ক্যাফেইন যা শরীরকে উদ্দীপ্ত রাখে। তবে এই দুই পানীয় বেশি পান করলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং শরীর দুর্বল করে তোলে। সেজন্যে নিয়ন্ত্রিত চা-কফির অভ্যাস করা জরুরি।
পুষ্টিকর ও সুষম খাবার গ্রহণ : শরীরে পুষ্টি গুণের অভাব থাকলে সামান্য পরিশ্রমেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পুষ্টিকর ও শক্তি সঞ্চয়কারী খাবার যেমন ডিম, কলা, দুধ, ফল, বাদাম, মাছ, মাংস, শাক-সবজি খেলে শরীরের পুষ্টির চাহিদা মিটবে, শক্তি মিলবে এবং দিনভর ক্লান্তিভাব দূর হবে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ : পছন্দের গান শুনুন, প্রিয় সিনেমা দেখুন অথবা বন্ধু-পরিজন নিয়ে কোথাও ঘুরতে যান। এসব করলে মন সতেজ থাকবে, কাজের ক্ষেত্রে উদ্যম আসে এবং ক্লান্তি আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
লেখক : ডা. মালিহা শিফা
সান নিউজ/এম