লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ঋতু পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। শীতের তীব্রতা কমে প্রকৃতি একটু একটু করে গরম হতে শুরু করেছে। এ সময়ে সর্দি-কাশির সমস্যা হয়ে থাকে অনেকের। গলা ব্যথা ও ঠাণ্ডা-সর্দির সমস্যা হলে তা ঘরোয়া ভাবেই ভালো হবে।
প্রকৃতিতে মৌসুম বদলের এসময়ে সর্দি-কাশি কিংবা জ্বর হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এগুলো সাধারণ জীবনযাপনের অংশ ভেবেই চলেছি এতকাল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে এখন সামান্য কাশি বা জর হলেই সবার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করতে শুরু করে।
যেহেতু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ভাইরাল ফিভারের প্রায় কাছাকাছি, তাই বেড়েছে বিপদ। যদি কারো এসময়ে সর্দি কাশি হয় বা ঠাণ্ডার লক্ষণ দেখা দেয় তবে এই পরিস্থিতিতে দুটো কাজ করুন সবার আগে। উদ্বিগ্ন না হয়ে প্রথমেই নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে নিন, আর বারবার হাত ধুতে হবে।
এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে করোনা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান যে জায়গায় রয়েছে তাতে বিগত দুই সপ্তাহের ভেতরে যদি আপনি বিদেশ থেকে না ফেরেন, কোনো বিদেশির সংস্পর্শে না আসেন তাহলে এখনই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আসুন জেনে নেই সর্দি-কাশির সমস্যায় কী করবেন?
এক.গলা ব্যথা হলে হালকা গরম পানির সঙ্গে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে বুকের ভেতরে জমা কফ বের হয়ে যাবে।
দুই. গরম চা বা কফি খেতে পারেন। এছাড়া শুধু হালকা গরম পানি খেলেও স্বস্তি পাওয়া যায়।
তিন.হালকা গরম পানিতে সামান্য হলুদের গুঁড়া, আদার গুঁড়া এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে গায়ে ব্যথা, সর্দি এবং মাথা ব্যথা কমাবে।
চার.গরম ভাপ নিতে পারেন। গরম পানিতে সামান্য ইউক্যালিপটাসের তেল মিশিয়ে জোরে জোরে টানুন। এতে উপকার পাবেন।
পাঁচ.তুলসী পাতা, থেঁতলানো আদা আর সামান্য গোল মরিচ মিশিয়ে চা খেতে পারেন।
এছাড়াও সর্দি-কাশি ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত আমলকীর রস খেতে পারেন।
এ অবস্থায় চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন ফোনের মাধ্যমে। সাধারণত গরম পানির ভেপার নিলে, হালকা প্যারাসিটামল বা অ্যান্টি অ্যালার্জিক খেলেই এই সমস্যা দু'একদিনে কমে যাওয়ার কথা।
আর তাতেও যদি না সারে তা হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতেই হবে। তবে এই সময়টা নিজেকে একটা ঘরে রাখা উচিত। যদি করোনাভাইরাস আক্রমণ করে তাহলেই সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।
মনে রাখবেন, এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হওয়াটা স্বাভাবিক। আপনি কাশি দিলেও অন্যরা সন্দেহের চোখে তাকাবে। তার চেয়েও বড় কথা, রোগটা আরও বিরাট আকার ধারণ করবে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তাই সতর্ক থাকা ভালো, তবে অযথা আতঙ্কিত হয়ে লাভ নেই।
সান নিউজ/সালি