সান নিউজ ডেস্ক : হঠাৎ করেই পর্নোগ্রাফির চেয়ে সেক্স টয় বা যৌন খেলনার প্রতি আসক্তি বেড়ে গেছে মানুষের। বিকৃত যৌনাচারে আকৃষ্ট হয়ে বিপদ সংকুল এই পথে হাঁটছে তরুণ প্রজন্ম। সুখের এক ভয়ঙ্কর অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। কিছু ক্ষেত্রে সেক্স টয় বা যৌন খেলনা প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন ডিভোর্সী ও বিধবারা। এমনকি শারীরিকভাবে অক্ষম স্বামীর কারণেও স্ত্রীরা ব্যবহার করছেন এটি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পর্ণগ্রাফি দেখে ভিন দেশীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে সেক্স টয় ব্যবহার করছেন তরুণীরা।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর হচ্ছে, লকডাউন পরবর্তী জীবনে সেক্স টয় কেনার প্রবণতা বেড়েছে প্রায় শতকরা ৬৫ ভাগ। পার্টনারের কাছ থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে, সেক্স টয়ে সে সবের বালাই নেই।
অনেকে সঙ্গীকে ভিন্নরকম সুখ দিতেও এটি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেন। তাদের অনেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ। কেউ কেউ শরনাপন্ন হন চিকিৎসকের। এমন তথ্য রয়েছে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে।
জানা গেছে, সেক্স টয় রয়েছে মেশিনারি (ভাইব্রেটর) ও নন মেশিনারি। স্বাভাবিক যৌন উপভোগ থেকে মানুষ যখন হারিয়ে যায়, তখনই বিক্রিত যৌন উপভোগে উপনীত হয়। বিকৃত যৌনচারের আকৃষ্ট হচ্ছে পর্ণগ্রাফি থেকে। আর সেক্স টয়ের ক্ষেত্রে নারীদের কাছে আফ্রিকান বডির চাহিদা বেশি।
সেক্স টয়ের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে, প্রাকৃতিক বিষয়ে কৃত্রিম বডির ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পর্ণগ্রাফি ও বিকৃত যৌনচারে বড় রকমের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এজন্য যৌন শিক্ষার প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
সান নিউজ/এস