লাইফস্টাইল ডেস্ক : বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা হোক বা একা রাত দুপুরে, আমাদের সঙ্গী হয় হাতের স্মার্টফোন। সারাদিনই আমরা কোনো না কোনো ডিভাইসে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকি। এতে করে আমরা সাময়িক ভালো সময় কাটাচ্ছি মনে হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা।
এক সমীক্ষায় বিজ্ঞানীদের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় থাকার ফলে দেখা দিতে পারে মানসিক অবসাদ। প্রভাব পড়ে সম্পর্কেও। ফেসবুক, ইনস্ট্রাগাম, হোয়াটসআপ বা টুইটারে দীর্ঘ সময় কাটালে তা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে জানাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ব্রায়ান প্রিম্যাক এ বিষয়ে জানান, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার এবং তার কারণে মানসিক স্বাস্থ্যে সমস্যা ও মানসিক অবসাদ এই দুইয়ের মাঝে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে, যা সহজে বের করা সম্ভব হয় না। কেউ ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদে থাকলে তা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ওপরে সেভাবে প্রভাব ফেলে না। কিন্তু যদি কেউ সোশ্যাল মিডিয়া বেশি ব্যবহার করে, তা হলে তার মধ্যে অবসাদ তৈরি হতে পারে।
সমীক্ষায় ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী হাজারেরও বেশি মানুষের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তাদের দেওয়া বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্তে আসেন, দিনে দু'ঘণ্টার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানো উচিত নয়। অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটালে কোনো লাভ হয় না। বরং মানসিক সমস্যার পাশাপাশি মনুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও কাজ, বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এমনিতেই মহামারি করোনা আমাদের মানসিক চাপে রেখেছে, এই করোনাদিনের বেশিরভাগ সময় কাটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সময় চলে গেলে আর ফিরে আসে না। ফানি ভিডিও দেখে বা অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট না করে, সময়গুলো নিজের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে জন্য দিনের দুই ঘণ্টা বেশি সময় দেওয়া যাবে না।
সান নিউজ/পিডিকে/এস