লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতের মৌসুমে বাচ্চারা গলা ব্যথা, সর্দি-ফ্লু, নিউমোনিয়া, ত্বকের সমস্যা এবং হাঁপানির মতো অসুস্থতায় বেশি আক্রান্ত হয়। বাচ্চারা অসুস্থ হলে শীতকালীন উৎসবে ভাটা পড়তে পারে। এসময় বাচ্চাদের সঠিক খাবার খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের হাইড্রেটেড এবং সঠিক খাদ্যভাসের পাশাপাশি বিশ্রামে রাখুন। যাতে তারা অসুস্থ না হয়ে পড়ে।
যে ৫টি খাবার থেকে আপনার বাচ্চাকে দূরে রাখবেন :
নোনতা এবং তৈলাক্ত খাবার
চর্বি এবং তেল যেমন- মাখন এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড; যা কফ এবং লালা ঘন করে ফেলে। শীতের মৌসুমে এই সমস্ত তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। বরং খাবার রান্না করতে তেলের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করুন।
ক্যান্ডিস বা চকলেট
চিনি বাচ্চাদের স্বাস্থ্যর জন্য সব সময়ই ক্ষতিকর। বেশি চিনি খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চার ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে। শীতকালে বাচ্চাদের সোডা, কোল্ড ড্রিঙ্কস, ক্যান্ডি, চকোলেট, অত্যন্ত শুকনো প্রাতঃরাশ এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার দেওয়া বন্ধ করুন।
মেয়নেজ
মেয়নেজ হিস্টামিন সমৃদ্ধ একটি রাসায়নিক। যা শরীরকে অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। তবে শীতের মৌসুমে হিস্টামিন সমৃদ্ধ খাবার অতিরিক্ত কফ সৃষ্টি করে। যা গলার সমস্যা তৈরি করতে পারে। হিস্টামিন টমেটো, অ্যাভোকাডোস, বেগুন, মেয়নেজ, মাশরুমের ভিনেগার, বাটার মিল্ক, আচার, গাঁজানো খাবার এবং কৃত্রিমভাবে সংরক্ষণকৃত খাবারে বেশি পাওয়া যায়।
দুগ্ধজাত পণ্য
সব ধরনের প্রাণিজ প্রোটিন লালা এবং শ্লেষ্মা ঘন করে ফেলে। যা বাচ্চাদের পক্ষে গিলে ফেলা কঠিন হয়ে যায়। আপনার বাচ্চাদের পনির, ক্রিম এবং ক্রিমভিত্তিক স্যুপ এবং চিপগুলি পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন তাদের সর্দির সমস্য হয়।
মাংস
মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। যা শ্লেষ্মা উৎপাদন এবং গলা ব্যথার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং ডিম সবচেয়ে খারাপ। আপনি যদি বাচ্চাদের মাংস খাওয়াতে চান তবে মাছ এবং জৈব আমিষ যুক্ত মাংস খাওয়ান।
সান নিউজ/পিডিকে