লাইফস্টাইল ডেস্ক : পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা সহ্য করা বেশ কঠিন। অনেকই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে দৈনন্দিন কাজ এমনকি অফিস থেকেও বিরতি নিতে বাধ্য হন। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন- পিরিয়ডকালে মাঝারি ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ায় উচিত। যদি ব্যথা খুব বেশি এবং প্রতিবার পিরিয়ড চলাকালীন সময় ঘটে তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
চিকিৎসকরা বলছেন- দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা আয়রনের ঘাটতি এবং বিভিন্ন অসুস্থতার কারণেও হতে পারে। পিরিয়ড ব্যথায় উপশম পেতে কিসমিস, কেশর এবং ঘি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে।
ভারতের বিখ্যাত পুষ্টিবিদ ডাক্তার রুজুতা দিভেকার সম্প্রতি এক লাইভ সেশনে পিরিয়ডের ব্যথা উপশমে ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেছেন। যা আপনাকে বেদনাদায়ক সময়গুলো থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে।
কিসমিস ও কেশর :
ভেজানো কিসমিস এবং কেশর দিয়ে দিন শুরু করুন। দু’টি ছোট ছোট বাটি নিন। একটি বাটিতে কালো কিসমিস ৪/৫ টি এবং অন্যটিতে কেশর বা জাফরান ১/২ টি নিন। সকালের শুরুতেই এটা খেলে পিরিয়ডের ব্যথা উপশম হবে। ডা. দিভেকারের মতে- এটি কোষ্ঠকাঠিন্য হ্রাস এবং আয়রনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।
শিকড় এবং কন্দ :
ডায়েটে শিকড় এবং কন্দ জাতীয় শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। যেমন- মিষ্টি আলু, আলু। এই সবজিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পলিফেনল এবং প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান হরমোন জাতীয় পদার্থ রয়েছে। যা পিরিয়ডের সময়ে ব্যাথা এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারি।
কলা :
বিকেল কিংবা সন্ধ্যার নাস্তায় একটি কলা রাখুন। কলা ছাড়াও কাঁচা কলার ফুল বা থোড় খাবারে অন্তভুর্ক্ত করতে পারেন। এতে প্রাকৃতিক ওষধি গুণ রয়েছে। রাতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া কিংবা চা, কফি পান ব্যাথা সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
ভুট্টা :
ভুট্টা ডিম্বাশয় স্বাভাবিক রাখে। ডা. রুজুতা দিভেকার বলেন, এটি ব্যাথা উপশমের পাশাপাশি যাদের এন্ডোমেট্রিওসিস রয়েছে তাদের জন্যও সহায়ক।
অলিভ ও ধনিয়া বীজ :
অলিভ ও ধনিয়া বীজ ব্যথামুক্ত পিরিয়ড নিশ্চিত করতে পারে। এই বীজগুলো ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রনের ভাল উৎস হিসেবে কাজ করে। এতে নারকেল এবং গুড় মিশিয়ে লাড্ডু তৈরি করা যেতে পারে। আর হলদি দুধে এক চিমটি আলিভ বীজ মিশিয়ে রাতে কাপ পান করতে পারেন। এটি আপনার ভাল ঘুমের সহায়ক হবে। ব্যথামুক্ত পিরিয়ডের জন্য প্রতিদিন একটি করে আলিভ লাড্ডু খান।
ডা. রুজুতা দিভেকার বলেন, এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো মহিলাদের ক্র্যাম্পস, ফোলাভাব, ক্লান্তি, ব্যথা উপশমে সহায়তা করবে। এই খাদ্যগুলো প্রাথমিকভাবে পিরিয়ডকালীন ব্যথা হ্রাস করতে কার্যকর। কারণ এগুলো ক্ষুদ্র ঘাটতিগুলো কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।
সান নিউজ/পিডিকে