লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রকৃতিতে ঋতু পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। কাক ডাকা ভোরে চারিদিকে মৃদু কুয়াশা, হিমেল বাতাস, পাতা ঝরা গাছে বসে পাখিদের কিচিরমিচির, সূর্যের আলোয় প্রাতঃভ্রমণকারীদের শরীর গরম করা, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা খাওয়া, দ্রুত বেলা গড়িয়ে যাওয়া- এ সবই প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তার আভাস দিচ্ছে।
শীতের সঙ্গে সঙ্গে দেশে গরম কাপড়ের চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়ছে। ফুটপাত থেকে শুরু ছোট-বড় শপিংমল ও মার্কেটে ক্রেতারা ভীড় করছেন গরম কাপড় কিনতে।বছরের অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসে দিন ছোট হওয়ায় মূলতঃ বিকেল থেকে ক্রেতাদের ভীড় বেশি হচ্ছে। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন (শুক্রবার ও শনিবার) রাজধানীর প্রায় সব মার্কেটেই ক্রেতাদের ভীড় দেখা গেছে।
রাজধানীর নিউমার্কেট, বঙ্গবাজার, গুলিস্তানসহ বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা শীতের পোশাক কিনতে বিভিন্ন মার্কেটে ঢুঁ মারছেন। রাজধানীতে তেমন শীত না পড়লেও বিভিন্ন জেলায় অপেক্ষাকৃত বেশি শীত পড়ছে।
বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই কম্বল, সুয়েটার ও জ্যাকেট কিনছেন। বিভিন্ন ধরনের গরম পোশাকের মধ্যে তুলনামূলক বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশুদের কাপড়। মাথার টুপি, পায়ের মোজা, হাতমোজা, মাফলার, সোয়েটার, জাম্পার, ফুলহাতা গেঞ্জি, কম্বলের দোকানগুলোতে বেচাকেনা বেশি।
গাজীপুরের ব্যবসায়ী আবদুল মালেক শনিবার দুপুরে বঙ্গবাজারে কম্বল কিনতে আসেন। তিনি জানান, গাজীপুরের বেশিরভাগ এলাকা এখনও গাছপালাবেষ্টিত হওয়ায় অপেক্ষাকৃত বেশি শীত অনুভূত হয়। গত কয়েকদিন ধরে কম্বল ও সোয়েটারের চাহিদা বেশ বেড়েছে। তাই কম্বল কিনতে এখানে এসেছেন। তিনি আরও জানান, কয়েকদিন আগের তুলনায় কম্বল প্রতি দামও ৩০-৪০টাকা বেড়ে গেছে।
বিক্রেতারাও কম্বলের দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন, “করোনাকালে বেচাকেনার অবস্থা খুবই খারাপ। লাখ লাখ টাকা লগ্নি করেছি আমরা। কিন্তু করোনার কারণে ক্রেতা নাই। তবে শীতের পোশাকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমরা খুশি।”
এখনও পুরোপুরি শীত না নামায় দাম একটু কম। শীত পড়লে চাহিদা বাড়বে এবং এগুলোর প্রতিটিতে ১০০ টাকা থেকে ১৫০টাকা দাম বেড়ে যাবে।’সম্প্রতি ভোরে একটু শীত শীত আমেজ থাকায় রাজধানীর রমনা, সোহরাওয়ার্দী ও চন্দ্রিমাসহ বিভিন্ন উদ্যানে ও রাজপথে প্রাতঃভ্রমণকারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এই সময়ে প্রাতঃভ্রমণ ও শরীরচর্চার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেকেই সপরিবারে চলে আসেন উদ্যানগুলোতে।
সান নিউজ/পিডিকে/এস