সান নিউজ ডেস্ক : পৃথিবীতে কতশত দিবস আছে, সেটা হয়তো আপনি নিয়ম করে মনে রাখেন না। তবে আপনি যদি পুরুষ হয়ে থাকেন, তবে আজকের দিনটি অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে। কারণ, দিনটি শুধুই আপনার। আজ ১৯ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস।
পুরুষ দিবসের মূল আলোচনার বিষয় পুরুষ নির্যাতন ও পুরুষ নির্যাতনের আইন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে পাঁচটি ট্রাইব্যুনাল থাকলেও পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট আইন। সে ক্ষেত্রে পুরুষদের আইনি সহায়তা পাওয়া দুষ্কর কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে মানবাধিকার আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, নারীরা নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি পুরুষরাও শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
এ ক্ষেত্রে পুরুষদের জন্য আলাদা আইন না থাকলেও প্রতিকার আছে। দণ্ডবিধি ১৮৬০ সালের পেনাল কোড অনুযায়ী, একজন আরেকজনকে আঘাত করলে যে শাস্তি পাবে ঠিক একইভাবে স্ত্রী যদি স্বামীকে আঘাত করে এবং স্বামী এ বিষয়ে ফৌজদারি মামলা করে তাহলে স্ত্রীও সেই পরিমাণ শাস্তি পাবে। এ ক্ষেত্রে স্বামীকে প্রথমে থানায় গিয়ে মামলা করতে হবে। থানায় মামলা না নিলে কোর্টে মামলা করতে হবে।
যৌতুক আইন ২০১৮ সালের বিধান অনুযায়ী, কোন স্ত্রী যদি স্বামীর কাছে টাকা চায় বা যৌতুক দাবি করে সে ক্ষেত্রে স্বামী মামলা করতে পারবে এবং এ ক্ষেত্রেও স্ত্রীর শাস্তির বিধান রয়েছে। স্ত্রী মিথ্যা মামলা করলে এবং পরবর্তী সময়ে তদন্ত সাপেক্ষে যদি প্রমাণিত হয় স্ত্রীর মামলা মিথ্যা সেখানে স্ত্রীর সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে এবং বাংলাদেশ এ বিষয়ে সাজাও হয়েছে।
এই আইনজীবী বলেন, মেয়েরা শারীরিকভাবে দুর্বল এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করতে পারে না সে ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য বিশেষ আইন রয়েছে। তবে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বর্তমানে অনেক পুরুষ আমাদের কাছে আইনি সহায়তার জন্য আসছেন। আমরাও তাদেরকে যথাযথ আইনি সহায়তা দিচ্ছি।
ইশরাত হাসান জানান, এ ধরনের অনেকগুলো অভিযোগ তার কাছে এসেছে। এবং অভিযোগকারীদের বেশির ভাগই সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণির।
সান নিউজ/এম