লাইফ স্টাইল ডেস্ক : আমরা সবাই নিজেকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসি,নিজেকে সাজিয়ে রাখতে পছন্দ করি।কিন্ত অনেক সময় সচেতন থাকার পরও তৈরী হয় কিছু প্রতিবন্ধকতা এর মধ্যে যদি কারো শরীরে থাকে অবাঞ্ছিত লোম ও কালো দাগ তাহলে চিন্তার ভাজ কপালে। আজ আপনাদের চিন্তা দুর করতে জেনে নিন সহজ পদ্ধতিগুলো:
০১. কফি স্ক্রাব
কফির স্ক্রাব সব চাইতে বেশি কার্যকরী একটি উপায় মুখের লোমের হাত থেকে রক্ষা পেতে। ক্যাফেইন ত্বকের গভীরে ঢুকে লোম দূর হতে সাহায্য করে।
০২. ওটমিল ও কলার মিশ্রণ
এটি বেশ সহজ একটি পদ্ধতি। দুই টেবিল চামচ ওটমিল ও একটি পাকা কলা দিয়ে পেস্ট বানান। আক্রান্ত স্থানে ১৫মিনিট ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।ওটমিল ভালো স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের লাল ভাব কমায়। মুখের লোম তুলে ফেলে। ত্বক উজ্জ্বল করে।
০৩. লেবু ও মধুর মিশ্রণ
ওয়াক্সিংয়ের বিকল্প হিসেবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। দুই টেবিল চামচ চিনি ও লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মেশান। মিশ্রণটিকে তিন মিনিট তাপ দিয়ে গরম করে নিন। পাতলা মিশ্রণ চাইলে পানি যোগ করে নিতে পারেন।মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হলে মুখে চুল গজানো এলাকায় মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। এবার সুতি নরম কাপড় দিয়ে ঘষে অবাঞ্ছিত লোমগুলোকে উল্টো দিকে টানুন।
০৪. ডিম ও ভুট্টার গুঁড়া
এক টেবিল চামচ ভুট্টার গুঁড়ার সঙ্গে সমপরিমাণ ডিমের সাদা অংশ মেশান। মুখের যেখানে অবাঞ্ছিত লোম আছে, সেখানে মেখে শুকাতে দিন। ডিমের আঠালো ভাব ও গুঁড়া ত্বকে পাতলা আবরণ ফেলবে। যা লোম তুলতে কার্যকর। তবে যাদের মুখে ব্রণ আছে, এই প্যাকটি তারা না ব্যবহার করাই ভালো।
০৫. মধু ও লেবুর রস
একটি বাটিতে প্রথমে ২ টেবিল চামচ কফি ও ১ টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। এতে ১ টেবিল চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশান। কফি ও চিনি পুরো গলবে না। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে অনেক ভালো ফল পাবেন।
০৬. ময়দা ও দই এর প্যাক
ময়দা ও দই-এর এই প্যাকটি ত্বকের লোমের রঙের পরিবর্তন করে এবং ওঠার পরিমাণ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো। একটি বাটিতে এই সব উপাদান নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন।
খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা না হয়। থকথকে ঘন হলে ভালো কাজে দেবে। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগান। বিশেষ করে নাকের নিচে ও থুতনিতে এবং কপালে। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ভালো মতো ঘষে মুখ থেকে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে ৩/৪ দিন এই প্যাকটি লাগানোর চেষ্টা করবেন। কিছুদিনের মধ্যেই অবাঞ্ছিত লোম দূর হবে।
০৭. চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। মুখের লোম দূর করা ও লোমের ঘনত্ব কমাতে লেবুর রসের জুড়ি নেই। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ত্বকের রোমকূপ থেকে লোম দূর হতে সহায়তা করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে লাগবে ৩ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ পানি। প্রথমে সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। এরপর এই মিশ্রণ মুখের ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধোয়ার সময় ভালোভাবে ঘষে তুলুন। এতে লোম ও শুকনো ব্রণের দাগ দূর হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এভাবে করুন। দ্রুত মুখের লোম থেকে মুক্তি পাবেন।