লাইফস্টাইল ডেস্ক: শিশুদের স্থূলতা বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে একটি হয়ে উঠছে। শৈশবে স্থূলতার পেছনে জীবনযাপনের ধরন, জেনেটিক্স, পরিবেশগত প্রভাব এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থাসহ বিভিন্ন কারণ ভূমিকা পালন করে। কিছু অভ্যাস শিশুর স্থুলতা বা অতিরিক্ত ওজনের কারণ হতে পারে। সেগুলো জানা থাকলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা সহজ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
আরও পড়ুন: খেজুর গুড়ের ৫ উপকারিতা
১) নিম্নমানের খাদ্যাভ্যাস: প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত পানীয়, ফাস্টফুড খাওয়া এবং ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্যের পরিমাণ কম খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ এবং পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। ক্যালোরি-ঘন খাবার, বিশেষ করে উচ্চ চর্বি এবং চিনিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাস শিশুর স্থূলতার একটি প্রধান কারণ। শৈশবে সঠিক পুষ্টির অভাব আজীবন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে।
২) শারীরিক কার্যকলাপের অভাব: অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম (টিভি, ভিডিও গেম, স্মার্টফোন) এবং খেলাধুলার মতো শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ কম থাকা শিশুর স্থূলতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপ সরাসরি ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত, যার মধ্যে রয়েছে দুর্বল হৃদরোগ এবং দুর্বল পেশী।
৩) জেনেটিক্স: স্থূল বাবা-মায়ের শিশুদের মেদবহুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে কারণ বিপাক এবং চর্বি সঞ্চয়কে প্রভাবিত করে এমন জেনেটিক কারণগুলো ভাগ করা হয়। তবে শুধুমাত্র জেনেটিক্সই শৈশবকালে স্থূলতার একমাত্র কারণ নয়। পরিবেশগত এবং জীবনযাপনের কারণেও শিশু স্থূল হয়ে ওঠে।
৪) পরিবেশগত কারণ: একটি শিশু যে পরিবেশে বেড়ে ওঠে- যেমন অস্বাস্থ্যকর খাবারের সহজলভ্যতা, ব্যায়ামের জন্য নিরাপদ স্থানের অভাব এবং খাদ্যাভ্যাসের আশেপাশের সামাজিক নিয়ম- শৈশবকালে স্থূলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফাস্ট ফুডের সহজলভ্যতা এবং বাড়িতে এবং স্কুলে চিনিযুক্ত খাবারের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি খারাপ খাদ্যাভ্যাসকে আরও উৎসাহিত করে।
৫) মানসিক কারণ: সামাজিক, পারিবারিক বা স্কুল-সম্পর্কিত চাপের কারণে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং মানসিক খাদ্যাভ্যাস শিশুদের ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। দুঃখ বা চাপের অনুভূতি দ্বারা পরিচালিত আবেগগত খাদ্যাভ্যাস স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসকে ব্যাহত করতে পারে, যার ফলে অস্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি পায়।
সান নিউজ/এএন