লাইফস্টাইল ডেস্ক: সুপারফুড এমন সব খাবারকে বলা হয় যা সবচেয়ে কম ক্যালোরি সমৃদ্ধ এবং সবচেয়ে বেশি পুষ্টি দেয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে এই সুপারফুডগুলো কখনোই হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে না। তবে কিছু সুপারফুড হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। জেনে নিন, কোন সুপারফুডগুলো হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে-
আরও পড়ুন: ওজন কমাবে যেসব ফল খেলে
১) ক্রুসিফেরাস শাক-সবজি: ক্রুসিফেরাস শাক-সবজি যেমন ব্রকলি, ফুলকপি ইত্যাদি ফাইবার সমৃদ্ধ। ফাইবার এবং নির্দিষ্ট শর্করার (যেমন রাফিনোজের মতো) উচ্চ পরিমাণের কারণে কারও কারও ক্ষেত্রে এটি ফুলে যাওয়া বা গ্যাসের কারণ হতে পারে, যা হজম করা কঠিন করে তোলে।
২) চিয়া সিড: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইবারে ভরপুর চিয়া সিড প্রচুর পানি শোষণ করে এবং পেট ফুলে যাওয়ার কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি পর্যাপ্ত তরল না খাওয়া হয় বা বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়।
৩) বাদাম এবং বীজ: চর্বি এবং ফাইবার বেশি থাকায় এগুলো প্রচুর পরিমাণে হজম করা কঠিন হতে পারে। যে কারণে এগুলো বেশি খেলে তা পেট খারাপ বা গ্যাসের কারণ হতে পারে।
৪) দুগ্ধজাত খাবার: প্রোবায়োটিকের কারণে দুগ্ধজাত খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হয়, তবে এ ধরনের খাবার ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স রয়েছে এমন কারও জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন: ব্যায়ামের আগে ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা
৫) কাঁচা রসুন এবং পেঁয়াজ: এতে রয়েছে ফ্রুকটান, এক ধরনের FODMAP (ফার্মেন্টেবল অলিগোস্যাকারাইডস, ডিস্যাকারাইডস, মনোস্যাকারাইডস এবং পলিওলস- এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যা হজম প্রতিরোধ করে), যা হজম করা কঠিন হতে পারে। যে কারণে পেট ফোলা, গ্যাস বা এমনকি ডায়রিয়া হতে পারে।
৬) লেগুম (মসুর ডাল, ছোলা, মটরশুটি): এগুলোতে প্রচুর ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে। তবে এতে অলিগোস্যাকারাইডও থাকে, যা অন্ত্রে গাঁজন হওয়ার কারণে গ্যাস এবং ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে।
৭) গ্লুটেন-মুক্ত শস্য: এ ধরনের শস্য যদিও পুষ্টিকর। তবে কখনো কখনো সংবেদনশীল ব্যক্তিদের বা যারা উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত নয় তাদের হজমের অস্বস্তি ঘটাতে পারে।
সান নিউজ/এএন