লাইফস্টাইল ডেস্ক: সুস্থ শরীর, মসৃণ ত্বকের রহস্য জানতে চাইলে সবার আগে পানির কথা সামনে আসবে। শরীর যাতে পানিশূন্য হয়ে না পড়ে, তার জন্যও পানিপানের পরামর্শ দেন চারপাশের লোকজন। পানিপান অবশ্যই জরুরি। কিন্তু কোনও কিছুই বেশি ভালো নয়। পানিপানের ক্ষেত্রেও একথা কার্যকর।
আরও পড়ুন: যে ৬ খাবার প্রতিদিন খাবেন
চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘পানির নেশা’ সমস্যা হিসেবেই বিবেচিত হয়। এক্ষেত্রে অত্যধিক পানিপানের অভ্যাস থাকে রোগীর। এর ফলে রক্তে সোডিয়ামের ঘনত্ব পাতলা হয়ে আসে।
সোডিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রোলাইট, যা কোষের ভেতরে এবং বাইরে তরলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। কিডনি থেকে যদি অতিরিক্ত পানির নিষ্কাশন না ঘটে, সেক্ষেত্রে ওই বাড়তি পানি কোষে প্রবেশ করে। এর ফলে কোষগুলো ফুলে যায়।
স্নায়ুর কার্যকারিতা, পেশির কার্যকারিতা এবং শরীরে তরল্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে সোডিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোডিয়ামের ঘনত্ব পাতলা হয়ে এলে, কোষগুলোর স্বাভাবিক ক্রিয়াকর্মও ব্যাহত হয়, যার প্রভাব পড়ে একাধিক অঙ্গের ওপর।
আরও পড়ুন:
স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি ঘণ্টায় ০.৮ থেকে ১ লিটার পর্যন্ত পানি শোধন করতে পারে কিডনি। অল্প সময়ের মধ্যে এর চেয়ে বেশি পানিপান করলে পানিধারণ ক্ষমতায় প্রভাব পড়ে, পাতলা হয়ে যায় রক্ত।
অনেক সময় অতিরিক্ত পানিপান করছি বলে বুঝতে পারি না আমরা। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, মাথার যন্ত্রণা, হঠাৎ করে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া, ক্লান্তি, পেশিতে যন্ত্রণা বা টান ধরলে, ঘন ঘন টয়লেটে ছুটতে হলে, হাত-পা, মুখ ফুলে গেলে সতর্ক হয়ে যান। একবারে অনেকটা পানিপানের পরিবর্তে বারে বারে, বেশ কিছুটা সময়ের ব্যবধানে পানিপান করুন।
সাধারণত পুরুষদের দিনে ৩.৭ লিটারের বেশি পানিপান করা উচিত নয়। অন্য পানীয়র মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ২.৭ লিটার। সব ধরনের তরল এখানে গণ্য হবে।
সান নিউজ/এএন