লাইফস্টাইল ডেস্ক: ডায়েরিয়ার মতো সমস্যায় সব ধরনের খাবার উপকারী নয়। এ সময় খাবারের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা সবার আগে জরুরি।
আরও পড়ুন: মস্তিষ্কের ক্ষতি করে যেসব খাবার
পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হলে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। এ অবস্থায় সাহায্য করতে পারে কিছু পানীয়, যা খেলে খুব সহজেই এ সমস্যা মোকাবিলা করা যায়। জেনে নিন পানীয়গুলো কি কি-
(১) ওরাল স্যালাইন: ওরাল স্যালাইন বিশেষভাবে তৈরি একটি ইলেক্ট্রোলাইট দ্রবণ, যা ডায়রিয়ার সময় হারানো তরল ও প্রয়োজনীয় খনিজ পূরণে কাজ করে।
এতে সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও গ্লুকোজের একটি সুনির্দিষ্ট ভারসাম্য রয়েছে, যা শরীরকে পানির ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে। ডায়রিয়ার ফলে সৃষ্ট ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে এ স্যালাইন অত্যন্ত কার্যকর।
আরও পড়ুন: পটল কেন উপকারী?
(২) ডাবের পানি: এটি প্রাকৃতিকভাবে পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ, যা রিহাইড্রেশনের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ হতে পারে।
ডাবের পানিতে চিনির পরিমাণ কম থাকে এবং তা সহজে হজমযোগ্য। এ পানীয় পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করার সময় হারানো তরল ও ইলেক্ট্রোলাইট পূরণ করতে সহায়তা করে।
(৩) ক্লিয়ার স্যুপ: মুরগি বা সবজির তৈরি ক্লিয়ার স্যুপ শুধুমাত্র হাইড্রেটিং নয়, প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ইলেক্ট্রোলাইট প্রদান করে। এ উষ্ণ তরল পানীয়টি পেটকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কিছু পুষ্টিও দেয়। তাই ডিহাইড্রেশন এড়াতে কম সোডিয়ামযুক্ত ক্লিয়ার স্যুপ খান।
আরও পড়ুন: ফুসফুসকে ভালো রাখে ৫টি খাবার
(৪) ভেষজ চা: কিছু ভেষজ চা ডায়রিয়া থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে এবং পেট সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে। ক্যামোমাইল চায়ে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে, যা পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করে এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে। যেমন- আদা চা আরেকটি কার্যকরী পানীয়, যা বমি বমি ভাব ও প্রদাহ দূর করতে কাজ করে।
(৫) ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ ফলের রস: আপেলের রস, ডালিমের রস ও তরমুজের রসের মতো ফলের রসে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা এবং ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে, যা রিহাইড্রেশনের জন্য উপযুক্ত। চিনির পরিমাণ কমাতে ও হজম সহজ করতে ফলের রসের সঙ্গে পানি দিয়ে পাতলা করে পান করুন।
ডায়রিয়ার সময় কমলার রসের মতো সাইট্রাস জুস এড়িয়ে চলুন। কারণ এটি খুব অ্যাসিডিক হতে পারে এবং ডায়রিয়া বাড়াতে পারে।
সান নিউজ/এনজে