লাইফস্টাইল ডেস্ক: গয়না বা সম্পদ হিসেবে সোনার জনপ্রিয়তা বরাবরই তুঙ্গে। এ কারণে সোনার দাম বাড়লেও বেচা-কেনা থেমে নেই। সোনার দাম কমার খবর শুনলে একদল মানুষ ছুটে যান জুয়েলারি দোকানে। অনেকে একটু কম দামে কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে সোনা কেনেন। সেক্ষেত্রে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন: বর্ষায় চুলের যত্ন
সোনার বিশুদ্ধতার বিভাজনের জন্য ১০ ক্যারেট, ১৪ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট ও ২৪ ক্যারেটের সোনা পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশে ১৮-২৪ ক্যারেটের সোনা বেশি বিক্রি হয়।
খাঁটি সোনা চেনার উপায়গুলো জেনে নিন-
(১) হলমার্ক: খাঁটি সোনা চেনার সহজ উপায় হলমার্ক। আপনি যে গয়না কিনছেন, সেখানে হলমার্ক চিহ্ন আছে কিনা তা আগে দেখুন। এ চিহ্ন সাধারণত গয়নার ভেতরের দিকে থাকে। এতে ক্যারেট অনুযায়ী ২৪, ২২ বা ১৮ এ নম্বরগুলি লেখা থাকে। নম্বর বেশি হলে সোনার গুণগত মান তত ভালো।
আরও পড়ুন: ঘরের কাজেই কমবে ওজন
(২) নাইট্রিক অ্যাসিড: নাইট্রিক অ্যাসিড সোনার সঙ্গে বিক্রিয়া করে না। তবে অন্য যেকোনো ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করবে। কাজটি করার জন্য গয়না বা সোনার কয়েন থেকে সামান্য অংশ ঘষে সংগ্রহ করতে হবে।
তারপর একটা ড্রপারে নাইট্রিক অ্যাসিড ভরে সংগ্রহ করা সোনার উপরে ফোঁটা ফোঁটা করে ফেলুন। রঙ পরিবর্তন না হলে বুঝবেন সোনা খাঁটি। যদি দেখেন রং বদলে যাচ্ছে এবং হালকা সবুজ আস্তরণ পড়ছে, তাহলে বুঝতে হবে সোনা খাঁটি নয়। অন্য ধাতু যেমন- তামা বা ব্রোঞ্জ মেশানো আছে।
আরও পড়ুন: সজনে পাতার গুণাগুণ
(৩) পানি পরীক্ষা: একটি বড় গামলায় ২ গ্লাস পানি নিয়ে তাতে সোনার গয়না ফেলে দেখুন সেটা ভাসে কিনা। ভাসলে বুঝতে হবে সেটি নকল। খাঁটি সোনা পানিতে ডুবে যাবে।
(৪) চুম্বকের সাহায্য নিন: সোনা খাঁটি নাকি অন্য ধাতুর মিশ্রণ, সেটা বোঝার সহজ উপায় হল চুম্বকের সাহায্যে পরীক্ষা করা। একটা ভালো মানের শক্তিশালী চুম্বক আপনার কেনা সোনার গয়নার কাছে ধরুন। যদি দেখেন আটকে যাচ্ছে, বুঝবেন খাঁটি নয়। কারণ চুম্বক সোনাকে আকৃষ্ট করে না।
(৫) সিরামিকের প্লেট: একটি সিরামিকের প্লেটের উপর সোনার গয়না আস্তে আস্তে ঘষুন। যদি প্লেটের উপর কালচে দাগ পড়ে, বুঝবেন ঠকেছেন। সূত্র: ফোর্বস
সান নিউজ/এনজে