লাইফস্টাইল ডেস্ক: শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের জুড়ি নেই। আমাদের পেটের পীড়ার জন্যেও ইসুবগুল উপকারী।
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কীভাবে?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, খাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ইসবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে পান করা উচিত। জেনে নিন ইসবগুলের গুণাগুণ সম্পর্কে-
১. প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে:
গরমের সময় বিশেষ করে প্রস্রাব হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যা থাকে অনেকের। এ সমস্যা কিন্তু আরও অনেক অসুখের কারণ হতে পারে। তাই শুরুতেই সতর্ক হতে হবে। আপনার যদি প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায় কিংবা প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হয় তবে নিয়মিত ইসবগুলের শরবত খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি প্রস্রাসের সমস্যা দূর করতে কাজ করে।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। ইসবগুল পেট ব্যথাও দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা থেকে আপনাকে আরাম দেবে ইসুবগুল। ইসবগুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে দুই বা তিন চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মেলে।
আরও পড়ুন: রোজাদারের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার কোনগুলো?
৩. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে:
ইসবগুলে রয়েছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান, যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এটি খুবই উপযুক্ত।
৪. হার্ট ভালো রাখতে:
ভুসি খেলে আমাদের অন্ত্রে এক ধরনের স্তর তৈরি হয়, যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দান করে। ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই হৃদরোগীদের জন্য দারুণ একটি খাবার এটি। নিয়মিত ইসুবগুলের ভুসি খেলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ইফতারে কেন তরমুজ খাবেন?
৫. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে:
আমাদের সুস্থতার জন্য কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। ভুসি খেলে আমাদের অন্ত্রে একধরনের স্তর তৈরি হয়, যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দান করে। ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসবগুলের হাইগ্রোস্কোপিক উপাদান রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে। তাই হৃদরোগীদের জন্য দারুণ একটি খাবার।
সান নিউজ/এসএম/এনজে