লাইফস্টাইল ডেস্ক: কোলেস্টেরল মানেই তা শরীরের জন্য প্রয়োজন খারাপ, এমন ধারণা ঠিক নয়। ২ ধরনের কোলেস্টেরল আছে। হাইডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল (এইচডিএল) ও লোডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল (এলডিএল)।
আরও পড়ুন: রোজাদারের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার কোনগুলো?
এর মধ্যে শরীরে লোডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে। এতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই এটাকে বলা হয় খারাপ কোলেস্টেরল।
চিকিৎসকদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে দীর্ঘ দিন ধরে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলো এক সময় ধমনীর গায়ে আটকে অবাঞ্ছিত কিছু ‘প্লাক’ তৈরি করে।
আরও পড়ুন: পদোন্নতি পেতে বাড়াতে হবে যেসব দক্ষতা
এতে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়ে শরীরে নানা সমস্যা শুরু হয়। এমন অবস্থা হাতের বাইরে চলে গেলে ওষুধের উপর ভরসা করতেই হয়।
জেনে নিন কী কী কারণে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে এবং তা নিয়ন্ত্রণের উপায়-
(১) খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাইরের ভাজাভুজি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া। এ ধরনের খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা বেশি থাকায় খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে থাকে। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আগে এসব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।
আরও পড়ুন: ত্বকে প্রতিদিন সাবান ব্যবহার করলে কী হয়?
(২) পলি ও মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ফাইবার জাতীয় খাবার থাকা প্রয়োজন। যেমন- ওট্স, গম, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, টাটকা শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, বীজ ও ফল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
(৩) এলডিএল বশে রাখতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ ও টোফুর মতো খাবার এ উপাদান মিলবে।
আরও পড়ুন: ইফতারের পর ক্লান্তি দূর করবেন যেভাবে
(৪) কোলেস্টরলের সমতার অভাব হওয়ার একটি বড় কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। বিশেষ করে মধ্য বয়সীদের মধ্যে এ প্রবণতা আরও বেশি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। সে জন্য জিমেই যেতে হবে, এমন নয়।
সাধারণ কিছু ব্যায়াম, সাইক্লিং ও সাঁতারের মতো ব্যায়াম করলে রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
সান নিউজ/এনজে