লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমে রোজা রেখে সুস্থ থাকাটা বেশ চ্যালেঞ্জের বিষয়। আবহাওয়ার ওপর কারও হাত না থাকলেও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এ আপনি পেতে পারেন স্বস্তি ও প্রশান্তি।
আরও পড়ুন: পদোন্নতি পেতে বাড়াতে হবে যেসব দক্ষতা
এ জন্য ইফতার ও সেহেরিতে বেশকিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আবার কিছু খাবার খাদ্য তালিকায় রাখলে প্রায় ১৫ ঘণ্টাব্যাপী রোজা রাখার সময় কিছুটা হলেও সহজ হবে বলে আশা করা যায়।
রমজানে ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণেই বেশিরভাগ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোজার সময় কোন স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো খেতে হবে, জেনে নিন-
(১) খেজুর:
ইফতারে খেজুর রাখা উত্তম। এতে আছে শর্করা, চিনি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, সালফার, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন ও ক্লোরিন ফাইবার। যা সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে খুবই দরকারি। প্রতিটি খেঁজুরে থাকে ৬৬ ক্যালরি শক্তি। সেহরিতে খাবারের পর দুটি খেঁজুর খেয়ে নিলে সারাদিনে অনেকটা সাপোর্ট পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: ইফতারে কেন তরমুজ খাবেন?
(২) কাঁচা ছোলা:
ইফতারে ভাজা পোড়া না রেখে রাখতে পারেন কাঁচা ছোলা। কারণ ২৫-৩০ গ্রাম ছোলায় প্রায় ১০০ ক্যালরি থাকে। কিন্তু ফ্যাট থাকে মাত্র ৫ গ্রাম, যা কি না রক্তের চর্বি কমায়। তাই সামান্য পরিমাণ খেয়ে নিলেই অনেক শক্তি পাওয়া যায়।
(৩) গোটা শস্য:
গোটা শস্য একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেট রাখে, ক্ষুধা নিবারণ করে ও শক্তি বৃদ্ধি করে। এগুলোতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে। ফলে এগুলো ধীরে ধীরে হজম হয় ও শরীরও বেশি শক্তি পায়।
আরও পড়ুন: ইফতারের পর ক্লান্তি দূর করবেন যেভাবে
(৪) বাদাম:
বাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিন থাকে, যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণতা বোধ করায়। এজন্য ইফতারে রাখতে পারেন হরেক রকমের মিশ্র বাদাম, যা আপনাকে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।
(৫) দই:
ইফতারিতে দই বা দই-চিড়া খেতে পারেন। এতে সারাদিন অভুক্ত পেটে ঠান্ডা কিছু হজমক্রিয়া সচল রাখবে। এছাড়া অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে। প্রতি ১০০ গ্রাম দইয়ে শক্তি থাকে ২৫৭ ক্যালরি। তাছাড়া দইতে থাকে প্রোবায়োটিক, যা হজমে সহায়ক। সূত্র: হেলদিফাইমি
সান নিউজ/এসএম/এনজে