আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কিছুদিন আগে পাকিস্তানের লাহোর হাইওয়েতে ফ্রান্সের এক নারীকে তার দুই সন্তানের সামনেই গণধর্ষণ করে একদল দুষ্কৃতি। পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে তারা নির্যাতিতাকেই এর জন্য দায়ী করে। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই লাহোরের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বুঝতে পেরে ইতোমধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তানের পুলিশ।
এই নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া বা কেমিক্যাল ব্যবহার করে তাদের নপুংসক বানানোর প্রস্তাব দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তিনি বলেন, এই ধরনের জঘন্য যৌন অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে দোষীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া উচিত। কিন্তু এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। পড়তে হতে পারে আন্তর্জাতিক মহলের ক্ষোভের মুখেও। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর অনেকেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী।
এরপরই এই ধরনের অপরাধে যুক্ত ধর্ষকদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করার পক্ষে সরব হন তিনি। ইমরান খান বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের অপরাধীদের ওপর কেমিক্যাল প্রয়োগ করে তাদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া উচিত। বিশ্বের অনেক দেশেই এই শাস্তি দেওয়া হয় বলে আমি পড়েছি।’
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে লাহোরের ওপর দিয়ে গুজরানওয়ালা প্রদেশে যাচ্ছিলেন ফ্রান্সের ওই নারী। লাহোর হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ তার গাড়ির তেল ফুরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্বামীকে ফোন করে নিজের বিপদের কথা জানান তিনি।। তারপর স্বামীর পরামর্শ মতো পুলিশকে ফোন করে সাহায্য করার আবেদন জানান।
কিন্তু পুলিশ আসার আগেই সেখানে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক এসে হাজির হন। তারপর গাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে তাকে বাইরে বের করে তার দুই সন্তানের সামনেই একে একে ধর্ষণ করেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে এই পাশবিক ঘটনা ঘটলেও পুলিশের কোনো টহলদারি ভ্যানকে দেখা যায়নি। নিজেদের বিকৃত লালসা চরিতার্থ করার পর দুষ্কৃতিরা ওই নারীর তিনটি এটিএম কার্ড এবং সঙ্গে থাকা টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে যান।
সান নিউজ/ এআর