আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে কমপক্ষে ৬৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে বোমা হামলায় নিহত ২১
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) স্থানীয় মাছ ধরার নৌকায় ১০ জন ও ইন্দোনেশিয়ান নৌযানের মাধ্যমে আরও ৫৯ জনকে উদ্ধার করা হয়। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
উদ্ধারকারী নৌকায় থাকা এপির একজন সাংবাদিক জানান, একটি উল্টে যাওয়া নৌকায় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আটকা পড়েন। বুধবার (২০ মার্চ) আরও ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। নৌকাটিতে প্রায় ১০০ জন রোহিঙ্গা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিখোঁজদের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এপি বলছে, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে যখন সাগর শান্ত থাকে, তখন মিয়ানমারের নির্যাতিত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমরা কাঠের নৌকায় করে প্রতিবেশী থাইল্যান্ড এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় নিহত ৩২ হাজার ছুঁই ছুঁই
ইন্দোনেশিয়া ১৯৫১ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। কিন্তু দেশটির উপকূলে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ইতিহাস রয়েছে। তবে সম্প্রতি এ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। দেশটির স্থানীয় মানুষ এখন আর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে রাজি নয়। সেখানে শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা বিরোধী বিক্ষোভ।
এর আগে ২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযানের পর পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। এখানে উপচে পড়া শরণার্থী শিবির থেকেও অনেক রোহিঙ্গা প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে দেশটি। সূত্র: এপি
সান নিউজ/এনজে