আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মুসলিম বিশ্বের সমালোচনা উপেক্ষা করে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে চুক্তি সই করলো সংযুক্ত আরব আমিরত ও বাহরাইন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদুল আকসার দখলদার ইসরায়েলের পক্ষে চুক্তিতে সই করেছেন বর্ণবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
আর আমিরাতের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আলে নাহিয়ান এবং বাহরাইনের পক্ষে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিন রাশেদ আল যিয়ানি।
ফিলিস্তিনের সব দল ও সংগঠন এবং আপামর জনসাধারণের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে চুক্তিতে সই করল এই দুই মুসলিম দেশ। এ নিয়ে এ পর্যন্ত চারটি আরব দেশ দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করল। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ ও সাধারণ মুসলমানেরা এই চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং বিক্ষোভ করেছে।
আরব আমিরাত ও বাহরাইন হচ্ছে সৌদি আরবের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ দু’টি দেশ। অবশ্য এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। বরং তারা ফিলিস্তিন ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বলে জানিয়েছে।
তবে গত কয়েক বছর ধরেই ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের গোপন সম্পর্কের কথা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়ে আসছে।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান বলেছেন, বহু বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের স্বাভাবিক সম্পর্কে ঐক্যমতের বিষয়ে ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই ফিলিস্তিন আমিরাতকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে আখ্যায়িত করে। কয়েকটি মুসলিম দেশ এর প্রতিবাদ জানায়। এই ঘটনার একমাসের মধ্যেই হোয়াইট হাউস থেকে ঘোষণা আসে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রস্তুত বাহরাইন। এত অল্প সময়ের মধ্যে দুই আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণায় বিস্মিত মুসলিম বিশ্ব।
সান নিউজ/ বি.এম./বিএস | Sun News