আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারত- উভয় দেশের সাথেই সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র মূল্য দেয়। অবাধ, মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ অভিন্ন স্বার্থে ২ দেশের সরকারের সাথেই যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত ২৬
সোমবার (১১ মার্চ) ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ সরকার ও ভারত’ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয়, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, উপমহাদেশে ‘ভারত হঠাও’ ক্যাম্পেইন বাড়ছে। বাংলাদেশের ‘একতরফা’ নির্বাচনের পর প্রতিবেশী ভারতের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হচ্ছে। আহ্বানকারীরা বলছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখছে ভারত।
এ পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন? জবাবে মিলার বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত। আমি ভোক্তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। সেটি বাংলাদেশে হোক বা বিশ্বের অন্য কোথাও।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৯
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত-উভয় দেশের সাথেই আমাদের সম্পর্ককে মূল্য দিই। অবাধ, মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ অভিন্ন স্বার্থে ২ দেশের সরকারের সাথেই আমেরিকা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে।
এর আগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে যায় এমন মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত মাকিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অ্যাটর্নি।
ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী ড. ইউনূসকে রাজনৈতিক উপায়ে হয়রানি করছে। তাদের এ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় প্রাণহানি ছাড়াল ৩১ হাজার
এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে মিলার বলেন, এ মন্তব্য সম্পর্কে আমরা অবহিত। এর আগে ড. ইউনূসের মামলাকে ঘিরে মার্কিন সরকারের উদ্বেগের বিষয়ে আমাকে কথা বলতে শুনেছেন। আমি বলেছি, ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের আইনের সম্ভাব্য বড় রকমের অপব্যবহার হতে পারে।
বাংলাদেশে মার্কিন সরকারের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস কেবল সেই মন্তব্যেরই পুনরুক্ত করেছেন।
সান নিউজ/এনজে