আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪
এর মধ্যে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে গতকাল সকালের মধ্যেই ৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। এতে সেখানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৯৫৪ জনে।
নতুন করে আহত হয়েছে আরও প্রায় ১১০ জন। ফলে এ পর্যন্ত গাজায় আহত হয়েছে ৭০ হাজার ৩২৫ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, কামাল আদওয়ান এবং আল-শিফা হাসপাতালে পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিতে ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য শিশুদের অবস্থাও গুরুতর। এ ২ হাসপাতালে আরও ৩ শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪
এদিকে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলছেন, ইসরায়েলের সাথে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে এখনও অনেক পথ বাকি আছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বলছে, মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। তারাও হামলার শিকার হচ্ছেন।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন আশা প্রকাশ করেছিলেন গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তিনি বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি আছি।
আরও পড়ুন: মালিতে নদীতে বাস পড়ে নিহত ৩১
জানা গেছে, ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় এ পর্যন্ত ২৩৮ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, গাজার উত্তরাঞ্চলে লড়াইয়ে অংশ নেয়া গিভাতি ব্রিগেডের ২৫ বছর বয়সী এক মেজর ও ২৪ বছর বয়সী এক ক্যাপ্টেন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া একই ইউনিটের আরও ৭ সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের অবস্থাও গুরুতর। চিকিৎসা সেবা দিতে তাদেরকে গাজা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক পোস্টে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বুরকিনা ফাসোতে হামলা, নিহত ১৫
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় স্থল অভিযান শুরু পর থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মোট ২৩৮ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৪০৮ জন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সূত্র: এএফপি, আল জাজিরা।
সান নিউজ/এনজে