আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধ এবং যুদ্ধবন্দিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরব সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: মালিতে নদীতে বাস পড়ে নিহত ৩১
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্য প্রাচ্যের এ দেশটিতে পৌঁছে তিনি সৌদি যুবরাজ এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধ ও রাশিয়া থেকে যুদ্ধবন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ দেয়ার প্রয়াসে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সাথে সৌদি আরবে আলোচনা করেছেন।
এছাড়া জেলেনস্কির ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় নেতা চলমান সংঘর্ষের অবসানের জন্য একটি ইউক্রেনীয় পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতায় ভূমিকার জন্য এমবিএসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: মিশিগানে সড়কে বাংলাদেশির মৃত্যু
রাষ্ট্রপ্রধান বিশেষ করে ইউক্রেনে ন্যায্য পন্থায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে সৌদি আরবের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেছেন। সৌদি আরবের নেতৃত্ব একটি ন্যায্য সমাধান খুঁজে পাওয়া যেতে পারে বলে বিবৃতিতে আশা ব্যক্ত করা হয়।
সৌদি প্রেস এজেন্সি বলেছে, ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সমস্ত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার জন্য সৌদির আগ্রহ ও সমর্থন নিশ্চিত করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে দেখা করেছেন জেলেনস্কি। তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় অস্ত্র পাঠাল উ. কোরিয়া
বিন সালমান সংকট সমাধান ও মানবিক পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টার পক্ষে তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে জেলেনস্কি সৌদি আরবের নিবেদিত প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলেও এ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে সৌদির মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার মধ্যে প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সফর করেছিলেন জেলেনস্কি।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে নিজেকে একজন সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসাবে অবস্থান দৃঢ় করার চেষ্টা করছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। অবশ্য ওপেক প্লাস দেশগুলোর মাধ্যমে জ্বালানি নীতিতে রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত রয়েছে সৌদি আরব।
সান নিউজ/এনজে