আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভেনেজুয়েলার মধ্যাঞ্চলে একটি উন্মুক্ত একটি সোনার খনি ধসে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দামেস্কে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ২
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার মধ্যাঞ্চলে বেআইনিভাবে পরিচালিত একটি সোনার খনিতে মাটির দেয়াল ধসে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার সময় সেখানে বহু মানুষ কাজ করছিলেন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় কর্মকর্তা ইওরগি আর্কিনিগা এএফপিকে বলেন, দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটির বলিভার প্রদেশের জঙ্গলে বুল্লা লোকা নামের খোলা গর্ত থেকে প্রায় ২৩ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হুথিদের হামলায় মার্কিন ড্রোন বিধ্বস্ত
এক্সে বেসামরিক নিরাপত্তা উপমন্ত্রী কার্লোস পেরেজ অ্যাম্পুয়েদা এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেন এবং এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যাকে বিশাল বলে উল্লেখ করেন। তবে তিনি কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি উন্মুক্ত খনির অগভীর পানিতে কর্মরত লোকদের ওপর ধীরে ধীরে মাটির একটি প্রাচীর ভেঙে পড়ছে। এ সময় কেউ কেউ সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হলেও অনেকে তাতে চাপা পড়েন।
কর্মকর্তারা জানান, সে সময় প্রায় ২০০ জন লোক খনিতে কাজ করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। খনিটিতে পৌঁছাতে হলে নিকটতম শহর লা প্যারাগুয়া থেকে ৭ ঘণ্টার নৌকায় ভ্রমণ করতে হয়।
আরও পড়ুন: মালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫
প্রদেশটির নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি এডগার কোলিনা রেয়েস জানান, আহতদের আঞ্চলিক রাজধানী সিউদাদ বলিভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অঞ্চলটি লা প্যারাগুয়া থেকে ৪ ঘণ্টা দূরত্বে ও রাজধানী কারাকাসের ৭৫০ কিলোমিটার (৪৬০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে সামরিক, দমকল বাহিনী ও অন্যান্য সংস্থাগুলো আকাশপথে ঐ এলাকায় চলে যাচ্ছে। এছাড়া অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য কারাকাস থেকে উদ্ধারকারী দলও পাঠানো হচ্ছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার বলিভার প্রদেশটি সোনা, হীরা, লোহা, বক্সাইট, কোয়ার্টজ ও কোল্টান সমৃদ্ধ। রাষ্ট্রীয় খনি ছাড়াও এ অঞ্চলে অবৈধভাবে এসব মূল্যবান ধাতু উত্তোলনের বিকাশমান শিল্প রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে ঐ অঞ্চলের ইকাবারুর আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি খনি ধসে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।
সান নিউজ/এনজে