আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাপুয়া নিউ গিনির পার্বত্য অঞ্চলে অতর্কিত হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৬৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।
আরও পড়ুন : ইরানে একই পরিবারের ১২ জনকে হত্যা
পুলিশের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, এনগা প্রদেশে জাতিগত বিরোধের সময় লোকজনের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়।
রাজধানী পোর্ট মোরেসবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (৩৭৩ মাইল) উত্তর-পশ্চিমের ওয়াবাগ শহরের কাছে মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে সিইসি ও প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি
রয়্যাল পাপুয়া নিউ গিনি কনস্ট্যাবুলারির ভারপ্রাপ্ত সুপার জর্জ কাকাসের বরাত দিয়ে এবিসি জানিয়েছে, এনগাতে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। এর আগে এমন ঘটনা দেখা যায়নি।
তিনি জানান, আমরা সবাই বিধ্বস্ত, আমরা সবাই মানসিকভাবে চাপে আছি। এটা বোঝানো সত্যিই কঠিন। পুলিশ ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ভিডিও এবং ফুটেজ পেয়েছে। সেখানে একটি লাশ বোঝাই ট্রাক দেখা গেছে।
আরও পড়ুন : মৃত ৯ জনের অধিকাংশই বাংলাদেশি
প্রায়ই জমি এবং সম্পদ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে জাতিগত দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে এনগা প্রদেশে তিন মাসের লকডাউন জারি করা হয়। সেই সময় পুলিশ কারফিউ এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
এনগা প্রদেশের গভর্নর পিটার ইপাটাস জানান, এই অতর্কিত হামলা ফের সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, আমরা জানতাম যে এ ধরনের লড়াই হতে চলেছে এবং আমরা গত সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম যাতে এ ধরনের সংঘাত এড়িয়ে চলার জন্য তারা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন : গাজায় নিহত ২৯ হাজার ছুঁই ছুঁই
গত মাসেই বড় ধরনের দাঙ্গা ও লুটপাটের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত হওয়ার পর সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির ঘনিষ্ট মিত্র অস্ট্রেলিয়া বলছে, এ ধরনের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক।
সান নিউজ/এমআর