আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের ১৬তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দলের আসনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)।
আরও পড়ুন: পুতিনের সমালোচক নাভালনির মৃত্যু
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও মুখপাত্র ব্যারিস্টার মুহম্মদ আলী খান আসিফ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ দিন রাজধানী ইসলামাবাদে কওমি ওয়াতান পার্টির সাথে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা ক্ষমতালোভী- এমন অভিযোগ অনেকেরই। এবার নির্বাচনে আমরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি (কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট) ও পাঞ্জাব আইনসভায় যত আসন পেয়েছি, তাতে চাইলে আমরা কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে পারতাম।
তবে আমরা তা করছি না। তার পরিবর্তে পার্লামেন্টে আমরা বিরোধী দলে থাকব। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান বিরোধী দলগুলোর সাথে জোট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সে নির্দেশ মেনেই কওমি ওয়াতান পার্টির সাথে বৈঠক করেছে পিটিআই।
আরও পড়ুন: গাজায় হামলায় আরও ৮৭ জন নিহত
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসন ২৬৬টি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি এসব আসনের একটি ব্যতীত বাকি ২৬৫টি আসনে নির্বাচন হয়েছে।
সাংবিধানিক বিধি অনুসারে, পাকিস্তানে কোনো দল বা জোট যদি সরকার গঠন করতে চায়, তাহলে সেই দল বা জোটকে অবশ্যই ১৩৩টি আসনে জয়ী হতে হবে।
তবে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, দেশটির প্রধান ৩ টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পিটিআই। মোট ৯২টি আসনে জয়ী হয়েছেন দলটির প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: পিটিআই নেতাকে গুলি করে হত্যা
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএলএন) জয়ী হয়েছে মোট ৭৯টি আসনে এবং ৫৪টি আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। অর্থাৎ সরকার গঠনের জন্য ন্যুনতম যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, তা পায়নি কোনো দলই।
ফলে পাকিস্তানের রাজনীতিতে অভূতপূর্ব এক অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এ সংকট কাটানোর সবচেয়ে উপযুক্ত সমাধান ছিল যে কোনো দুটি রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জোট সরকার গঠন করা।
তবে কোন দুই দল জোট গঠন করবে তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক নাটকীয়তা পরিলক্ষিত হয়েছে। এমনকি এ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেবে, এমন গুঞ্জনও শুরু হয়েছিল। পিটিআইয়ের এ সিদ্ধান্ত কার্যত সেই অনিশ্চয়তার সংকট কেটে যাওয়ার প্রথম ধাপ। সূত্র: জিও নিউজ
সান নিউজ/এনজে