আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২ জন দক্ষিণ আফ্রিকার সেনা সদস্য।
আরও পড়ুন : গাজায় হামলায় আরও ৮৭ জন নিহত
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সহিংসতা বৃদ্ধির মধ্যে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহীদের হামলায় দক্ষিণ আফ্রিকার দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার পৃথক এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের ডাক
আল জাজিরা জানিয়েছে, কঙ্গোর ইতুরি প্রদেশের জুগু জেলার কাছে একটি সোনার খনিতে কোডেকো সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়ে অন্তত ১২ জনকে হত্যা এবং আরও ১৬ জনকে অপহরণ করেছে বলে বৃহস্পতিবার দেশটির একটি সুশীল সমাজ সংস্থা জানিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এসএএনডিএফ) বলেছে, ‘এই হামলার ফলে এসএএনডিএফ-এর ২ সদস্য নিহত এবং আরও ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য গোমার নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী ঘোষণা পিটিআইয়ের
আল জাজিরা জানায়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কঙ্গোর সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত অঞ্চলে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে এসব হামলার জন্য এম২৩ নামে এক বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে। এই গোষ্ঠীটি এই অঞ্চলে কয়েক বছর ধরে কঙ্গোলিজ সৈন্যদের সাথে লড়াই করছে।
প্রসঙ্গত, মূলত কঙ্গোর এই অঞ্চলে ১২০ টিরও বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে এবং এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি তাদেরই একটি। কিনশাসা বলেছে, এম২৩ প্রতিবেশী রুয়ান্ডা থেকে সামরিক সহায়তা পাচ্ছে। জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই অভিযোগের সমর্থনে প্রমাণ রয়েছে। তবে রুয়ান্ডা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কিন্তু এম২৩ সাম্প্রতিক বিবৃতিতে ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা পূর্ব কঙ্গোতে আক্রমণের মধ্যে রয়েছে এবং এর ফলে গোষ্ঠীটি আবার গোমাকে লক্ষ্যবস্তু করছে। ১০ বছর আগে তারা একবার গোমা দখল করেছিল।
আরও পড়ুন : লেবাননে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯
এছাড়া দ্য কোঅপারেটিভ ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব কঙ্গো (কোডেকো) নামে এক পৃথক বিদ্রোহী গোষ্ঠীও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে লড়াই করছে।
সান নিউজ/এমআর