আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
একদিকে ভারতের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা, অন্যদিকে সীমান্তে একের পর এক সেনা বহর মোতায়েন। প্রতিবেশী দেটির সঙ্গে রীতিমত দ্বিচারিতার খেলা খেলে চলেছে চীন।
সম্প্রতি সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে ভারতের সঙ্গে পাঁচ দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সম্মতি দেয় চীন। রাশিয়ার মস্কোয় বৈঠকে এই সম্মতি দেন দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সেই আলোচনা যেন কার্যত ব্যর্থতায় পরিণত হল।
ব্রিগেড কমান্ডার স্তরের বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ার পর ফের বৈঠকের আয়োজন করতে চাইছে ভারত। নয়াদিল্লির বক্তব্য হচ্ছে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উচিত। কিন্তু সে পথে হাঁটতে রাজি নয় বেইজিং।
সীমান্তে সাঁজোয়া যানসহ অতিরিক্ত সেনা মোতায়ন করেই চলেছে চীন। পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে স্পানগর গ্যাপে মোতায়েন রয়েছেন ভারতীয় সেনারাও। তবে ভারতীয় সেনার শ্যুটিং রেঞ্জের মধ্যে চলে এসেছেন চীনা সেনারা। ফলে ভারতীয় সেনাদের মাঝে জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। চীনা উস্কানিতে কোনোভাবেই যেন ভারত পা না দেয়, সেই নির্দেশও জারি করা হয়েছে উপর মহল থেকে।
গত ৩০ আগস্ট থেকে গুরুং হিল ও মাগার হিলের মধ্যবর্তী স্পানগর গ্যাপে অবৈধভাবে সেনা মোতায়েন করেছে চীন। প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে চুশুলের কাছে দখলদারী এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য। দুই দেশই শ্যুটিং রেঞ্জের মধ্যে দাঁড়িয়ে।
প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তের ওপর এখন উড়ছে ভারতীয় পতাকা। চীনা সেনাদের পুরোনো অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ভারত। তবে পূর্ব লাদাখে এখনও বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে ঘাঁটি তৈরি করেছেন চীনা সেনারা।
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, প্যাংগং লেক এলাকায় নতুন করে সেনাছাউনি চোখে পড়েছে।
কৌশলগত দিক থেকে এই এলাকায় যে দেশ প্রভাব ধরে রাখতে পারবে, তারা সামরিক দিক থেকে এ এগিয়ে থাকবে। এই বিষয়টা মাথায় রেখেই স্পানগার লেকের দক্ষিণ প্রান্তে রাস্তা তৈরি করেছে চীন। যার মাধ্যমে চীনা সেনারা যাতায়াত করতে সক্ষম।
সেখানে তৈরি হয়েছে চীনা সেনাঘাঁটিও। এই এলাকা থেকেই চীনা সেনাদের সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল ভারত। তবে তাতে যে তারা কর্ণপাত করেনি, তা বলাই বাহুল্য। তবে শুধু প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তই নয়, স্পানগার গ্যাপ এলাকাও দখল নিয়েছেন ভারতীয় সেনারা। এই এলাকা সেনা মুভমেন্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সান নিউজ/ এআর