আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চৌধুরী মুহাম্মদ আদনান নামের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ২০১৮ সালে পিটিআই থেকে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ভূমিধস, নিহত বেড়ে ৬৮
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রাওয়ালপিন্ডি শহরের সিভিল লাইন এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই পিটিআই নেতা এবারের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের রাওয়ালপিন্ডির এনএ-৫৭ আসন ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের পিপি-১৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে আদনানকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক হামলায় হতাহত ৬
এর আগেও পাকিস্তানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আরও ২ পিটিআই কর্মী নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোট কারচুপির অভিযোগে খাইবার পাখতুনখাওয়ার শিংলা এলাকায় পিটিআই নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের সময় গুলি চালায় পুলিশ। এ সময় ২ জন নিহত হন। আহত হন আরও ১২ জন।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দমন-পীড়নের মধ্যেও এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে চমক দেখিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ভাগাভাগির কথা ভাবছে নওয়াজ-ভু্ট্টো
নির্বাচনের ২৬৪ আসনের ঘোষিত ফলে দেখা গেছে, তারা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৯৩টি আসন। দেশটির কোনো দলই এককভাবে সরকারের গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। প্রার্থী খুন হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত রয়েছে। সূত্র: ডন।
সান নিউজ/এনজে