আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে কমপক্ষে ৭ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ জনই শিশু।
আরও পড়ুন: গাজায় নিহত বেড়ে ২৮ হাজার ছুঁই ছুঁই
বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক নেটওয়ার্ক টেলিগ্রামের এক পোস্টে আঞ্চলিক গভর্নর ওলেগ সিনেগুবোভ বলেন, দুর্ভাগ্যবশত খারকিভে দখলদারদের হামলায় ৭ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ শিশু রয়েছে, যাদের বয়স ৭ ও ৪ বছর। অপর একটি শিশুর বয়স ৬ মাস বলে জানা গেছে।
এর আগে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ-নিয়ন্ত্রিত লিসিচানস্ক শহরের একটি বেকারিতে হামলায় অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ভবনটিতে একটি রেস্টুরেন্টও রয়েছে। রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে হামলার ঘটনায় নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান।
তার আগে ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। এসব হামলায় লক্ষ্যবস্তু ছিল বিদ্যুৎ অবকাঠামো। ফলে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: জোট গঠনে তৎপরতা শুরু করেছেন নওয়াজ
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানায়, কমপক্ষে ২৪টি ইরানি দিয়ে ড্রোন হামলা চালিয়েছে মস্কো। এসব হামলায় দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের অবকঠামোগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে হাঙ্গেরি। তবে এবার তাদের আপত্তিকে পাশ কাটিয়ে কিয়েভকে টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইইউর অন্য সদস্য দেশগুলো।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৪-২৭ সালের মধ্যে ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে ৩৩০০ কোটি ইউরো ও অনুদান হিসেবে আরও ১৭০০ কোটি ইউরো দেয়া হবে। এই অর্থ যাবে সরাসরি ইইউয়ের তহবিল থেকে।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন ইমরান খান
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই কিয়েভকে অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে ইইউ। তবে এ পর্যন্ত সেটি দেয়া হয়েছে আন্তঃসরকার চুক্তির মাধ্যমে। এ পদ্ধতিতে অর্থ দিতে প্রতিবছর প্রত্যেক সদস্য দেশের অনুমোদন দরকার হয়। পদ্ধিতিটি ইইউ বাজেট ব্যবহারের তুলনায় বেশি জটিল।
যুদ্ধের কারণে বর্তমানে ভয়াবহ অর্থ সংকটে রয়েছে ইউক্রেন। সহায়তা না পেলে আগামী মাস থেকে সাধারণ রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনার টাকাও থাকবে না কিয়েভের হাতে।
ইউক্রেনকে আরও অর্থ সহায়তা দেয়ার বিষয়টি মার্কিন কংগ্রেসে বেশ কিছুদিন ধরে আটকে রয়েছে। ফলে প্রধানতম মিত্র ও দাতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আশানুরূপ কিছু দেখছে না কিয়েভ। এ অবস্থায় ইইউয়ের সহায়তা বড় ভরসা হয়ে উঠেছে কিয়েভ সরকারের কাছে।
সান নিউজ/এনজে