আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটের হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) চেয়ারম্যান নওয়াজ শরিফ ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়ে সরকার গঠনের জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় নিহত বেড়ে ২৮ হাজার ছুঁই ছুঁই
তার দল চাইছে নতুন জোট গঠিত হলে সেই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজ শরিফ। তবে ভোটের হিসেবে তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) বলছে, নতুন জোটে যেতে তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে আপত্তি রয়েছে দলটির।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পিপিপির শীর্ষ মুখপাত্র খুরশিদ শাহ জিও নিউজকে জানান, নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হতে চান। এ কারণে জোট গঠনের তৎপরতা চালাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সেনাদের নিতে আসছে মিয়ানমারের জাহাজ
তিনি বলেন, জোট সরকারে অংশ হতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চাই না। আমরা চাই, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন আমাদের দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচন হয়েছে। অ্যাসেম্বলির মোট আসন সংখ্যা ২৬৬ টি। এসব আসনের মধ্যে একটি ব্যতীত বাকিগুলোতে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এগিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৪৫ টি আসনের ফলাফল জানা গেছে। এ সময় পর্যন্ত ৯৮ টি আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই), ৬৯ টি আসন পেয়েছে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫১ টি আসন।
এদিকে শুক্রবার লাহোরে নিজ বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়া কসমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে পিএমএলএনকে বিজয়ী বলে দাবি করে নওয়াজ শরিফবলেন, আমি শেহবাজ শরিফকে (নওয়াজের ছোটো ভাই ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী) ফজলুর রহমান (চেয়ারম্যান-জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম-ফজলুর), খালিদ মকবুল সিদ্দিকী (চেয়ারম্যান-মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট) এবং আসিফ আলি জারদারির (কোচেয়ারম্যান- পাকিস্তান পিপলস পার্টি) সাথে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে আলোচনা শুরু করতে বলেছি।
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক সহিংসতা, নিহত ৪
এ প্রসঙ্গে খুরশীদ শাহ বলেন, এখনো সবগুলো আসনের ফলাফল আসেনি। তার এত ব্যস্ততা কীসের? যাই হোক, আমরা আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।
উল্লেখ্য, ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী নেতা ছিলেন খুরশিদ শাহ। সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজ শরিফ। সূত্র: জিও নিউজ
সান নিউজ/এনজে