আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে কারাগারে বন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন।
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক সহিংসতা, নিহত ৪
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন কারাগারে বন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের সাথে যুক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এএফপি জানিয়েছে, ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেয়া হয়নি। এমনকি তাদের নির্বাচনী প্রতীকও ছিনিয়ে নেয়া হয়। তাই ইমরানপন্থিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন: ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
পাকিস্তানের স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোতে অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে বেশিরভাগ নির্বাচনী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন বলে দেখানো হয়। এর মধ্যে ইমরানের দলের ডজন খানেক অভিষিক্ত প্রার্থীও রয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫ টায় পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর শুরু হয় গণনা। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ফল ঘোষণা শুরু হয়। দীর্ঘ এ সময় ধরে ফল ঘোষণা না করা বা ফল সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানা না যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সেনাদের সমুদ্রপথে ফেরত
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, ইমরান খানের প্রার্থীরা ১২৫ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা এগিয়ে মাত্র ৪৪ টি আসনে। এছাড়া বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি এগিয়ে মাত্র ২৮ আসনে।
৩৩৬ টি আসনের পাকিস্তানের পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৬৯ টি আসন।
সংবাদ মাধ্যমে বো হয়, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় পর স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪ টায় প্রথম আসনের ফল ঘোষণা করা হয়। সেই আসনটিতে জয় পায় ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। পরে আরও কয়েকটি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন সরকার নির্বাচনে পাকিস্তানে ভোট শুরু
দেশটির সংবাদ মাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬ টি আসনে, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা ৩ টি আসনে ও বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রার্থীরা ৪ টি আসনে জয় পেয়েছেন।
যদিও এ নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সবচেয়ে বেশি আসন জিতবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ৭৪ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর ওপর সামরিক বাহিনীর আশীর্বাদ রয়েছে। তবে স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো বলছে, নওয়াজের দলটি নির্বাচনে খারাপ পারফরম্যান্স করেছে। এমনকি নওয়াজ শরিফ নিজেও একটি আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ভোটের সংখ্যায় পিছিয়ে পড়েছেন।
সান নিউজ/এনজে