আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, সহিংসতা ও ভোটে কারচুপির দাবির মধ্যেই আজ লাখ লাখ পাকিস্তানি ভোট দিতে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে দুই স্থানে বিস্ফোরণ, নিহত ২৬
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দেশটির ৯০ হাজার ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। এসব ভোট কেন্দ্রে সাড়ে ৬ লাখের বেশি সেনা, আধা সামরিক ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ নির্বাচনে ১২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ভোট দেবেন যাদের মধ্যে অর্ধেকই ৩৫ বছরের কম বয়সী। এবারের নির্বাচনে ৫ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী মাত্র ৩১৩ জন।
আরও পড়ুন: আরও ৬৩ সীমান্তরক্ষীর অনুপ্রবেশ
নির্বাচনে এগিয়ে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) শীর্ষ নেতারা কারাগারে থাকায় তার দলের জন্য নির্বাচনে অংশ নেয়া কঠিন হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রবেশে উদারতার সুযোগ নেই
দলীয় প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে এবার তারা ভোটে অংশ নিতে পারছেন না। এ দল থেকে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে এবার পাকিস্তানের নির্বাচন খুব একটা বিশ্বাসযোগ্যতা থাকছে না বলা যায়।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জনপ্রিয় ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রায় ২ বছর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন এবং নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: জিআই পণ্য টাঙ্গাইল শাড়ি, গেজেট আজ
এদিকে দেশটির ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ আবারও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে কম বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনগুলোর একটি।
সান নিউজ/এনজে