আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
চীন-ভারত কেউই যুদ্ধ চায় না৷ দুই দেশই মুখে এমনই দাবি করছে৷ কিন্তু প্রায় পাঁচ মাস ধরে সংঘাতের পরিস্থিতি চলার পরেও সমাধান সূত্র বের হয়নি৷ ফলে পুরোদস্তুর যুদ্ধ না বাধলেও লাদাখ সীমান্তে দুই দেশ ছোটখাটো যুদ্ধের দিকেই এগোচ্ছে বলে ক্রমেই আশঙ্কা বাড়ছে৷
রাশিয়ায় জোড়া বৈঠকের পরেও লাদাখ-পরিস্থিতি বদলের ইঙ্গিত মিলল না। ভারতের সরকারি সূত্রের খবর, লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হলেও সেনা প্রত্যাহার নিয়ে সম্মত হয়নি চীন।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর পার্শ্ববৈঠকে দু’দফায় আলোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চীনের বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই। প্রথমবার মধ্যাহ্নভোজন পর্বের বৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও ছিলেন। সন্ধ্যায় দ্বিতীয় বৈঠকে জয়শঙ্কর এবং ওয়াং লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
সূত্র বলছে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় সায় দিয়েছেন ওয়াং। কিন্তু নিজেদের ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও অখণ্ডতা বজায় রাখার কথা বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আপাতত প্যাংগং হ্রদের উত্তরের ফিঙ্গার এরিয়াগুলো থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মির পিছু হটার সম্ভাবনা কার্যত নেই।
ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজ বলেছে, গত শুক্রবার (১১ এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফংহির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কিন্তু গত ১৫ জুন গালওয়ানে ভারত ও চীনা ফৌজের রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর রাজনৈতিক স্তরের সেই প্রথম বৈঠকে এলএসি নিয়ে কোনো রফাসূত্র মেলেনি। প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পেছানো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন) নিয়েও ঐকমত্য হয়নি।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর