আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুদান ও দক্ষিণ সুদান সীমান্তে ভয়াবহ সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৫২ জন। এ সকল নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। উভয় দেশের মধ্যে বিতর্কিত আবেই অঞ্চলে সহিংসতা ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: সৌদিতে ১৯ হাজার অভিবাসী গ্রেফতার
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে একটি বিতর্কিত অঞ্চলে হামলা ও সহিংসতায় কয়েক ডজন লোক নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। গত সপ্তাহে সামগ্রিকভাবে আবেই অঞ্চলে নারী ও শিশুসহ ৫২ জন মারা গেছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জানিয়েছেন।
সুদান ও দক্ষিণ সুদান উভয়ই তাদের যৌথ সীমান্ত বরাবর তেল সমৃদ্ধ এ অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে থাকে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ৭
আবেইয়ের তথ্যমন্ত্রী বুলিস কোচ বলেছেন, গত শনিবার দক্ষিণ সুদানের ওয়ারাপ রাজ্যের সশস্ত্র যুবকরা প্রতিবেশী আবেইতে হামলা চালায়। সীমানা নিয়ে বিরোধে ২০২১ সাল থেকে এ ধরনের হামলা চলছে ও সর্বশেষ এ হামলাটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা। এ হামলায় নিহতদের পাশাপাশি আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংঘর্ষের সময় ইউএনআইএসএফএ-এর একটি ঘাঁটিও আক্রমণের শিকার হয়। আক্রমণটি প্রতিহত করা হলে ‘দুঃখজনকভাবে ঘানার একজন শান্তিরক্ষী ঘটনার সময় নিহত হয়’ বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বুলিস কোচ জানিয়েছেন, ‘ভয়ানক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে ব্যাপক ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, আমরা কারফিউ জারি করেছি।’
আরও পড়ুন: জেনিনে হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলা
কোচ আরও বলেন, ওয়ারাপের ডিনকা যুবক ও নুয়ের জাতিগোষ্ঠীর একজন বিদ্রোহী নেতার বাহিনী আবেইতে ডিনকাস ও নুয়েরদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছিল। এখন হামলা-সহিংসতার পর শত শত বেসামরিক নাগরিক ইউএনআইএসএফএ-এর ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
ওয়ারাপ রাজ্যের তথ্যমন্ত্রী উইলিয়াম ওল জানিয়েছেন, তার সরকার মারাত্মক এ ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে আবেই প্রশাসনের সাথে যৌথ তদন্ত সমন্বয় করবে।
আল জাজিরা জানায়, ডিনকাস ও নুয়েরদের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার কারণে ২০১৩-২০১৮ সালের মধ্যে দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত অছে। বিপুল সংখ্যক বেসামরিক লোক এতে নিহত হয়েছেন ও বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সান নিউজ/এএ