আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসেজি)।
আরও পড়ুন : কাতারের সঙ্গে বসছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি মামলার অন্তবর্তীকালীন রায়ে আদালতের প্রেসিডেন্ট মার্কিন বিচারক জে দোঙ্গু এই আদেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘আদালত ইসরায়েলকে নির্দেশ দিচ্ছে, গাজায় গণহত্যা সংঘটিত যেন না হয় সেজন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয়তা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন : নাইট্রোজেন প্রয়োগে বিশ্বে প্রথম মৃত্যুদণ্ড
রায়ে আরও নির্দেশ দেন, ‘সেনারা যেন কোনো ধরনের গণহত্যা সংঘটিত না করেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং গণহত্যার নির্দিষ্ট (অভিযুক্ত) প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে।’
রায়ে বলা হয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছতে দিতে হবে এবং গাজার সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হবে।’ এছাড়া ত্রাণ পৌঁছানো এবং গণহত্যা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে এক মাসের মধ্যে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে দখলদার ইসরায়েলকে।
আরও পড়ুন : জান্তার ৪৩ শতাংশ এলাকা হাতছাড়া
তবে যেটি ধারণা করা হয়েছিল, গাজায় ইসরায়েলকে তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ আদালত দেবেন; সে ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
গাজায় আগ্রাসন ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে গত বছরের শেষের দিকে আইসিজেতে মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি মাসের শুরুতে আদালতে মামলাটির দুই দিনের শুনানি হয়।
শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়, আদালত যেন জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেয়। এছাড়া, জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের সুরক্ষার তাগিদও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : গাজায় নিহত ২৬ হাজার ছুঁই ছুঁই
অবশ্য ইসরায়েল আদালতকে এই মামলাটি সরাসরি খারিজ করে দিতে বলেছিল। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, তারা আশা করছেন- জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ‘এই মিথ্যা এবং বিশেষ অভিযোগগুলোকে ছুড়ে ফেলে দেবে’।
আইসিজে তার অন্তবর্তীকালীন রায়ে আরও বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার যে অভিযোগ দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে; সেসব অভিযোগের সঙ্গে কিছু বিষয়ের মিল রয়েছে। এ কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ মামলা চলবে।
সান নিউজ/এমআর