আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি অভিযানের আজ ১০০তম দিন। দখলদার বাহিনীর হামলায় এই ১০০ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২৩ হাজার ৮৪৩ জন ফিলিস্তিনি।
আরও পড়ুন: কলম্বিয়ায় ভূমিধস, নিহত বেড়ে ৩৩
কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া দখলদার বাহিনীর হামলায় ১০০ দিনে কমপক্ষে ২৩ হাজার ৮৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
এ সময়ে আহত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩১৭ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারেন।
গাজার রাফাহ কুয়েতি হাসপাতালের চিকিৎসক সুহাইব আল-হামস জানান, এই ১০০ দিন কীভাবে কেটে গেল? গাজাবাসী এ সময়গুলো তিক্ততার সাথে, শহীদদের সাথে, আহতদের নিয়ে সময় পার করেছে। তারা বেদনা, নিষ্ঠুরতা ও দুঃখের দৃশ্য নিয়ে পার করেছে।
আরও পড়ুন: নেপালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১২
শুধু বাড়িঘরই নয়, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলেরও ধ্বংস প্রত্যক্ষ করেছি। ইসরায়েল বোমা হামলা করেছে হাসপাতাল, রাস্তা, মেডিকেল দল বা অ্যাম্বুলেন্স সবকিছুর ওপর। তারা কোনো কিছু বাদ দেয়নি।
যুদ্ধের ১০০তম দিনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়ে বলেন, আমাদের অভিযান কেউ বন্ধ করতে পারবে না।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে বিজয় অর্জন থেকে কেউ বাধা দিতে পারবে না। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের যা করা প্রয়োজন, তা করবো।
আরও পড়ুন: গাজায় নিহত ২৪ হাজার ছুঁইছুঁই
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর সীমান্ত ভেঙে ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। সে হামলার প্রতিশোধ নিতে ঐ দিন থেকেই গাজায় বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। পরে স্থল অভিযানেও নামে দখলদার বাহিনীর হাজার হাজার সৈন্য।
টানা ৬ সপ্তাহ সংঘর্ষের পর গত ২৪ নভেম্বর সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস-ইসরায়েল। প্রথমে ৪ দিন বিরতি দিয়ে বন্দী বিনিময় চুক্তি হলেও পরে তা ২ দফায় আরও ৩ দিন বাড়ানো হয়।
যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলি বন্দিদের মধ্যে বেশ কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে তাদের চেয়ে ৩ গুণ বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছাড়া পান। যুদ্ধবিরতি শেষে ফের গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে দখলদার বাহিনী।
সান নিউজ/এনজে