আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ শেষ হলে ভবিষ্যতে গাজা কিভাবে শাসন করা হবে, তার একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।
আরও পড়ুন : ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হচ্ছে না
ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, ওই এলাকায় ফিলিস্তিনি শাসন থাকবে সীমিত। হামাস আর গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না এবং ইসরাইল সার্বিক নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
তিনি যখন এ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন, তখন গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়,গত ২৪ ঘণ্টায় এসব হামলায় কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছেন।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে বোমারু বিমান বিধ্বস্ত
গ্যালান্টের বর্তমান ‘চতুর্মুখী’ পরিকল্পনার আওতায় গাজার সার্বিক নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলের হাতে থাকবে। বহুজাতিক একটি বাহিনী ওই এলাকার পুনর্গঠনে কাজ করবে। কারণ ইসরাইলের বোমা হামলায় গাজায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, গাজার বাসিন্দারা ফিলিস্তিনি, তাই ফিলিস্তিনি একটি কাঠামো নেতৃত্বের দায়িত্বে তারা থাকবে। কিন্তু এখানে শর্ত থাকবে যে, ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতি কোনও শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড বা হুমকি আসবে না।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় হতাহত ৭
গাজার ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে আলোচনায় ইসরাইলের মধ্যে গভীর মতভেদ দেখা দিয়েছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের কিছু কট্টর ডানপন্থি সদস্য বলেছে, ফিলিস্তিনের নাগরিকদের গাজা ছেড়ে নির্বাসনে চলে যেতে বলা উচিত। আর ওই এলাকায় ইহুদী বসতি আবার গড়ে তোলা উচিত।
বিতর্কিত এ প্রস্তাবকে ‘চরমপন্থি’ এবং ‘অকার্যকর’ বলে উল্লেখ করে তা বাতিল করে দিয়েছে ওই এলাকার অন্য দেশগুলো যাদের মধ্যে ইসরাইলের মিত্রদেশও রয়েছে।
আরও পড়ুন : জাপানে ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৯২
যদিও গ্যালান্টের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তার অন্য সহকর্মীদের আনা প্রস্তাবের তুলনায় বেশি বাস্তবসম্পন্ন বলে মনে করা হচ্ছে, তারপরও হয়তো এই প্রস্তাব বাতিল করে দেবেন ফিলিস্তিনি নেতারা। তারা বলছেন, এই বিধ্বংসী যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ওই এলাকা পরিচালনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গাজাবাসীর থাকা উচিত।
নেতানিয়াহু অবশ্য গাজা কিভাবে শাসন করা হবে তা নিয়ে জনসমক্ষে এখনও কোনও ধরনের মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার নিয়ে শুরু হওয়া গাজার এই যুদ্ধ এখনও কয়েক মাস ধরে চলতে পারে।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়
গ্যালান্টের পরিকল্পনায় আরও বলা হয়, গাজায় পরবর্তী ধাপের যুদ্ধে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী কিভাবে এগিয়ে নেবে, সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে আরও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে এগিয়ে যাবে। সেখানে অভিযান চালানোর পাশাপাশি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা এবং বিমান ও স্থল হামলা চালানো হবে।
দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী হামাসের নেতাদের খোঁজ পেতে এবং বন্দিদের উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। বৃহস্পতিবার আইডিএফ জানায়, গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের গাজা শহর ও খান ইউনিস শহরে হামলা চালিয়েছে তারা।
সান নিউজ/এমআর