আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রুশ বাহিনী রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা চালিয়ে এ পর্যন্ত ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন ৩১ জন এবং আহত হয়েছেন ১৬০ জনেরও বেশি এবং নিহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক।
আরও পড়ুন: সৌদিতে স্বর্ণের খনির সন্ধান
শুক্রবার(২৯ ডিসেম্বর ) রাতভর এই হামলা চলেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, ‘রাশিয়ার অস্ত্রাগারে যত গোলাবারুদ-ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, তার প্রায় সবই উজাড় করে দিয়েছে রুশ বাহিনী, অন্তত ১১০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং অজস্র ড্রোন ছোড়া হয়েছে পুরো ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, বিমান বাহিনীর সেনারা মোট সেসবের মধ্যে ৮৭টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২৭টি ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন। শুক্রবার ( ২৯ ডিসেম্বর ) রাত থেকে ইউক্রেনের সামরিক ও অবকাঠামোগত স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল এসব ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন।
আরও পড়ুন: চার ইসরায়েলি গুপ্তচরকে ফাঁসি
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি অভিযান শুরুর পর থেকে এই প্রথম রুশ বাহিনী এত বড় মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা চালিয়েছে এবং ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেন, সামনে এ ধরনের আরও হামলার আশঙ্কা করছেন তারা।
রয়টার্সকে উমেরভ বলেন ‘গত রাতে যে হামলা ঘটল, তা থেকে এটা প্রায় স্পষ্ট যে আগ্রাসনকারী রাষ্ট্র তাদের শীতকালীন হামলার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র-বিস্ফোরক আগে থেকেই মজুত করে রেখেছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা নিয়মিত ঘটতে পারে। আমাদের এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি রাখতে হবে’।
আরও পড়ুন: রাফাহ শহরে হামলায় নিহত ২০
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রুশ বাহিনীর শুক্রবারের হামলায় রাজধানী কিয়েভে ৮ জন, ঝাপোরিজ্জিয়ায় ৮ জন, দানিপ্রোতে ৬ জন, কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী বন্দরশহর ওডেসায় দুই শিশুসহ ৪ জন, খারকিভে ৩ জন এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে ২ জন নিহত হয়েছেন।
সান নিউজ/এএন/এএ