আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজার জেলায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
ঘটনার তিন বছর পর রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত সেই অপরাধের তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিনিয়র পাবলিক প্রসিকিউটর ফাখিসো মচোচোকো।
তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত দোষীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ওপর রাখাইনে সংঘটিত অপরাধ ক্ষতিয়ে দেখা হবে আদালতে। এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হবে। অপরাধী প্রত্যেককে জবাবদিহি করতে হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আইসিসির বিচারকরা মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগণের ওপর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তের জন্য আইসিসি প্রসিকিউটর ফাতৌ বেনসৌদার অনুরোধ অনুমোদন করেন।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে রোমের বিধিমালার অধীনে আইসিসি প্রসিকিউটর কার্যালয়ের (ওটিপি) চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন।
এর আগে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা রোধে নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারকে গত ২৩ জানুয়ারি নির্দেশ দেয় জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত- আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।
সান নিউজ/সালি