আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসী ইস্যুতে বরাবরই সোচ্চার। তার ক্ষমতায় থাকার সময় আমেরিকাজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান জোরদার হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমির আর নেই
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের গৃহীত অভিবাসন নীতি আমেরিকায় দীর্ঘদিন ধরে থাকা অভিবাসীদের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত বিষাক্ত করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অনথিভুক্ত অভিবাসীরা ‘আমাদের দেশের রক্তে বিষাক্ত’ করছে বলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও আগামী বছরের নির্বাচনে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন। তার মন্তব্যকে জেনোফোবিক (বিদেশি বা বিদেশি বংশোদ্ভূত লোকদের প্রতি ভীতি) ও নাৎসি বক্তৃতার প্রতিধ্বনি বলে আগেই সমালোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থানে দাবানল
রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গত শনিবার নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যে প্রচারাভিযানের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। সেখানে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীদের অবৈধভাবে মার্কিন সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।
এছাড়াও ২য় মেয়াদে ৪ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসন রোধ ও বৈধ অভিবাসন সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছের ট্রাম্প।
দ্য ন্যাশনাল পালস নামে একটি ডান-পন্থি ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প একইভাবে ‘রক্তে বিষ প্রয়োগ’ ভাষাটি ব্যবহার করেছিলেন। গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হওয়ার পর এটি অ্যান্টি-ডিফেমেশন লীগ থেকে সমালোচনা ও তিরস্কারের শিকার হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি
অ্যান্টি-ডিফেমেশন লীগের নেতা জোনাথন গ্রিনব্ল্যাট সেসমই ট্রাম্পের এই মন্তব্যটিকে ‘বর্ণবাদী, জেনোফোবিক ও ঘৃণ্য’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
ইয়েলের অধ্যাপক ও ফ্যাসিবাদ বিষয়ে বইয়ের লেখক জেসন স্ট্যানলি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বারবার এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা বিপজ্জনক। তিনি জানান, ট্রাম্পের কথায় নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়। হিটলারও তার রাজনৈতিক গ্রন্থ ‘মেইন কামফ’-এ ইহুদিদের মাধ্যমে জার্মান রক্তের বিষ প্রয়োগের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন।
স্ট্যানলি জানান, ‘তিনি (ট্রাম্প) এখন এ শব্দভান্ডারকে সভা-সমাবেশে পুনরাবৃত্তিমূলক ভাবে ব্যবহার করছেন। বিপজ্জনক বক্তৃতা পুনরাবৃত্তিমূলক ভাবে ব্যবহার করা হলে তা স্বাভাবিক হয়ে যায় ও এটি অনুশীলনের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তোলে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের নিরাপত্তার জন্য খুবই উদ্বেগজনক আলোচনা।’
সান নিউজ/এএ