আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে দেড় শতাধিক দেশ।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে সশস্ত্র হামলায় নিহত ২৪
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। মঙ্গলবারের এই ভোটাভুটিতে প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় ১৫৩টি দেশ।
আরও পড়ুন : পোল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড
অন্যদিকে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০টি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। আর ভোটদান থেকে বিরত ছিল ২৩টি দেশ। যদিও সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া এই রেজোলিউশনটি মানা বাধ্যতামূলক নয়, তারপরও এটি বৈশ্বিক মতামতের সূচক হিসাবে কাজ করে থাকে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল আজিজ আলওয়াসিল বলেছেন, ‘আমরা তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই যারা এই খসড়া প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছেন যা সবেমাত্র বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হয়েছে।’
আরও পড়ুন : গোলাবর্ষণে লেবাননে মেয়র নিহত
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।
এই পরিস্থিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি হয় এবং তাতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে উত্থাপিত প্রস্তাব বিপুল ভোট পেয়ে পাস হয়।
আরও পড়ুন : সৌদিতে ঝড়-বৃষ্টির জেরে বহু রাস্তা প্লাবিত
এর আগে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে গত শুক্রবার ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মূলত এরপরই সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি উত্থাপন করে অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।
সেই প্রস্তাবে উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি দু’টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছিল আমিরাত। প্রথমত, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সব বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং দ্বিতীয়ত, অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে সব বন্দিকে মুক্ত করতে হবে।
সান নিউজ/এমআর