আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার টেংগারা প্রদেশে ৬.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। অবশ্য ভূমিকম্পের জেরে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : গাজায় শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত ১৯৫
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে।
আরও পড়ুন : গাজায় হামলায় ৩৮ সাংবাদিক নিহত
তবে ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা (বিএমকেজি) বৃহস্পতিবারের এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৩ বলে জানিয়েছে। এছাড়া কম্পনের ঘটনায় কোনও ধরনের সুনামির শঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছে তারা।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশের রাজধানী কুপাং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে উপকূলীয় এলাকায় ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার (১৫.৫ মাইল) গভীরে।
আরও পড়ুন : জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের পদত্যাগ
রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবারের এই ভূমিকম্পে পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহরে তীব্রভাবে কম্পন অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
কুপাংয়ের অ্যাস্টন হোটেলের কর্মচারী স্যামুয়েল মালোহানা বলেছেন, হোটেলের অতিথিরা ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। পরে প্রায় ১০০ জন অতিথি তাদের কক্ষ ছেড়ে হোটেলের সামনে জড়ো হন।
আরও পড়ুন : হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষ, ১১ সেনা নিহত
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলেছে, বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ায় আগাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.১।
প্রসঙ্গত, এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটির বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে নিয়মিতই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে।
আরও পড়ুন : গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত অর্ধশতাধিক
এর আগে গত বছরের ২১ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে প্রাথমিকভাবে ৫৬ জনের প্রাণহানির তথ্য জানানো হয়। পরে এই ভূমিকম্পে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১০ জনে। আহত হয়েছিলেন আরও বহু মানুষ।
সান নিউজ/এমআর