আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ওতিসের আঘাতে মেক্সিকোতে ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ৩৬ জন।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বিমান দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ১২
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় ২ পর্যটন শহর কোইউকা দে বেনিতেজ ও অ্যাকাপুলকোতে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
গত কয়েক দিন আগে প্রশান্ত মহাসাগরে উদ্ভূত হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার (২৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় মাঝ রাতের দিকে অ্যাকাপুলকোর উপকূলে আছড়ে পড়ে।
ওতিসের তাণ্ডবে ২ শহরে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৭৩ হাজার ঘরবাড়ি, ৬০০ টি হোটেল ও ১২০ টি হাসপাতাল।
এছাড়া নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে অনেক রেস্তোঁরা ও ছোটো দোকান। পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ২ শহরের বিদ্যুৎ, মোবাইল ও টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক।
আরও পড়ুন: ২ ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৩
অবশ্য রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেল থেকে বিদ্যুৎ, মোবাইল ও টেলিফোন সংযোগ স্বাভাবিক হওয়া শুরু করেছে। তবে এখনো অনেক এলাকা বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছন্ন রয়েছে।
কোইউকা দে বেনিতেজের পৌর প্রশাসন জানায়, এ ঝড়ে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫০০ কোটি ডলার।
দেশটির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা বলেন, সাগর থেকে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার সময় ঝড়টির গতি এতো বেশি ছিল যে তারা পূর্বাভাস দেওয়ার পর অধিকাংশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাননি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের রাজধানীতে বিক্ষোভ
এছাড়া জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কিত বিশেষায়িত সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বলছে, ২০১৫ সালে ঘূর্ণিঝড় প্যাট্রিসিয়া আঘাত হানার পর গত ৮ বছরে এই প্রথমবার এতো বিধ্বংসী কোনো ঝড় দেখলো কোইউকা দে বেনিদেজ ও অ্যাকাপুলকোর লোকজন।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, ওতিসের মূল তাণ্ডব অ্যাকাপুলকো শহরের ওপর দিয়ে গেছে। শহরটিতে বসবাসকারী প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার মানুষের অধিকাংশই ঝড়ে সব কিছু হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধে ২৯ সাংবাদিক নিহত
অ্যাকাপুলকোয় তছনছ হয়ে যাওয়া ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধ্বংস্তূপের মধ্যে এখনো নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছেন দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
এদিকে ঝড়ের পর লুটপাটের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অ্যাকাপুলকো ও কোইউকা দে বেনিতেজে নিরাপত্তা বাহিনীর ১৭০০ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার থেকেই মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা বাহিনীর স্থল ও নৌবাহিনীর সদস্যদের তত্ত্বাবধানে ২ শহরের বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ত্রাণ সরবরাহ শুরু হয়েছে। সূত্র: এএফপি
সান নিউজ/এনজে