আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে উত্থাপিত প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার ‘কোথাও নিরাপদ’ নয়
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি তোলে জর্ডান। গাজায় অবিলম্বে একটি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সেখানে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সরবরাহ নিরপদ করা, উপত্যকার উত্তরাংশের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল, তা বাতিল করা এবং এ যুদ্ধে যেসব বেসামরিককে বন্দি করা হয়েছে, তাদের সবাইকে মুক্ত করাসহ এ প্রস্তাবটিতে সরাসরি হামাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
জর্ডানের পেশ করা প্রস্তাবটি ওপর ভোটগ্রহণ পর্ব শেষে দেখা যায়, প্রস্তাবটির পক্ষে জাতিসংঘের ১২০ টি সদস্য রাষ্ট্র ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৪ টি সদস্য রাষ্ট্র। এছাড়া ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে ভারতসহ ৪৫ সদস্য রাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: গাজায় নিহতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়াল
এ সময় ডিজিটাল স্ক্রিনে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর হাত তালিতে মুখরিত হয় সাধারণ পরিষদের মিলনায়তন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত ইরেজ ক্রসিংয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে কয়েকশ হামাস যোদ্ধা।
সেখানে ঢোকার পর তারা কয়েকশ বেসামরিক মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২২০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জিম্মি হিসেবেও ধরে নিয়ে যায়।
তাদের এ হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান পরিচালনা শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে
গত ২০ দিনের এ যুদ্ধে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১৪০০ জন ইসরায়েলিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিক। এ যুদ্ধে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৭০০০ জন ছাড়িয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর ৪ সপ্তাহ পর সাধারণ পরিষদে প্রথমবারের মতো এ সম্পর্কিত কোনো প্রস্তাব ভোটের জন্য উত্থাপিত হলো। অবশ্য গত ২ সপ্তাহ ধরেই জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান
গত ১৭ অক্টোবর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানয়ে প্রথমবারের মতো প্রস্তাব তোলে রাশিয়া। তখন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ভেটোর কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) গাজায় ত্রাণ সরবরাহ নিরাপদ রাখতে মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে সেটিরও একই পরিণতি হয়। সূত্র: সিএনএন
সান নিউজ/এনজে