আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৩ হাজার ৪৭৮ জন। আহত হয়েছেন প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে রকেট ছুড়ল হিজবুল্লাহ
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। টানা প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ও স্কুল ও হাসপাতালের মতো স্থানেও হামলার ঘটনা ঘটছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও অভিযানে গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৪৭৮ জনে পৌঁছেছে ও আহত হয়েছেন ১২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা ১৩০০
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা এক সংবাদ সম্মেলনে এই পরিসংখ্যান ঘোষণা করার সময় ‘চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের গুরুতর পরিণতির’ ওপর জোর দেয়। আল-কেদরা জোর দিয়ে জানান, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যার ধারাবাহিকতা জাতিগত নির্মূলের মতো কাজ ও এটি ফিলিস্তিনি অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।’
তিনি আরও জানায়, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত মোট ৩৪৭৮ জন মারা গেছেন ও বিভিন্ন মাত্রার আঘাতে ১২ হাজার ৬৫ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের ৭০% নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। শত শত ফিলিস্তিনি এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩৩০০
আল-আহলি আরব নামের ঐ হাসপাতালটিতে অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়াও দখলদার ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতেও অনেক মানুষ ‘নিরাপদ আশ্রয়’ ভেবে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়েছিলো।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ঐ হাসপাতালটির একটি হলরুমে কয়েকশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। মূলত বিমান হামলা থেকে বাঁচতেই হাসপাতালে গিয়েছিলো তারা। সেখানেও চালানো হয় ইসরায়েলি নৃশংসতা।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ‘ব্যাপক মানবিক দুর্ভোগ’ কমাতে ‘ অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়েছেন।
সান নিউজ/এএ